sliderস্থানীয়

ভিক্ষুক ভিজিডি চাল আবদার করার জের : ইউপি সদস্যের মারধরে আহত-৭

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : বৃদ্ধ ভিক্ষুক বিউটি ইউপি সদস্যর কাছে ভিজিডি কার্ড চাইলে তাকে ভোট না দেওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটে ৭ জন নারী-পুরুষকে মারধর করে গুরত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু ও তার সহযোগীদের বিরূদ্ধে । বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার দূর্গাদহ গুচ্ছগ্রামে বেলা ১১টা ও রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভুগিদের অভিযোগে জানা যায়, জয়পুরহাটের ভাদশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু স্থানীয় গুচ্ছ গ্রামের ভিজিডি চালের কার্ডের নাম লিস্ট করছিলো এমন সময় বৃদ্ধ ভিক্ষুক বিউটি (৫৫) ও তার মেয়ে মারুফা ঐ ইউপি সদস্যর কাছে ভিজিডি কার্ডের আবদার করে। তখন ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা ঐ ভিক্ষুক ও তার মেয়েকে তাকে ভোট দেননি বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এসময় রোকসানা, দেলজান, দেলোয়ার হোসেন সহ প্রতিবেশীরা তাদেরকে মারধর থেকে রক্ষার চেষ্ঠা করলে তাদেরকেও মারধর করে। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে অভিযোগ করলে ইউপির সদস্য ও সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে পুনরায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশী রোকসানা সহ তাদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ৭ জন নারী পুরুষকে গুরত্বর আহত করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতে ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টুকে ১ নাম্বার আসামী করে ১৪ জনর নামে মামলা করেছেন ভুক্তভুগিরা।


অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টুর বক্তব্য নিতে বারবার চেষ্ঠা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন জানান,প্রথমে মারধরের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসলে যেহেতু মেম্বার সংশ্লিষ্ঠ ব্যাপার সেজন্য আমি থানায় পাঠিয়ে দেই। তারা থানায় না গিয়ে ডিসি, ইউওনো মহোদয়ের কাছে গিয়েছে। পরে রাতে শুনছি প্রচন্ড গোন্ডগোল।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহান দেশরূপান্তরকে বলেন মারামারি ঘটনায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুইটি মামলাতে ইউপি সদস্য পিন্টুকে ১ নাম্বার আসামী করে ১৪ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। হায়দার আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন বলেন, মারার আপনার, আমার কারো বিধান নাই। সে মেরেছে সেজন্য তার বিরূদ্ধে মামলা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button