ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রকৃতি ও অস্তিত্ব ধ্বংস করবে
ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রকৃতি, কৃষি, অর্থনীতি ও অস্তিত্ব ধ্বংস করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফারাক্কার চেয়েও কয়েকগুণ ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। এটি হবে বাংলাদেশের প্রকৃতি-অর্থনীতি-অস্তিত্বে মারাত্মক আঘাত। জাতীয় প্রেস কাবের সামনে ‘বাংলাদেশের নদী, প্রকৃতি, কৃষি ও অস্তিত্ব বিনাশী ভারতীয় আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বন্ধ কর, বাতিল কর’ দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে বক্তারা এ আশঙ্কার কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), জাতিসংঘ পানি প্রবাহ কনভেনশন বাস্তবায়ন আন্দোলন, হাওরাঞ্চলবাসী, জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন, নদী বাঁচাও আন্দোলন, গ্রিনভয়েস, পিপলস সার্ক ওয়াটার ফোরাম বাংলাদেশ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, তুরাগ বাঁচাও আন্দোলন, রিভারাইন পিপল, ওয়াটারকমনস বাংলাদেশ, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, জল পরিবেশ ইন্সটিটিউট, চলনবিল রক্ষা আন্দোলন ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে রোববার এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তারা আরো বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের বিহার-উরিষ্যা-আসামসহ নয়টি রাজ্যেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। যে কারণে ভারতের পরিবেশবাদীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
তারা বলেন, আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। তাই এর বিরুদ্ধে এদেশের জনগণকে সোচ্ছার হতে হবে। জনগণ চায় বাংলাদেশ সরকার আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বাতিল নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের সাথে সফল আলোচনা করবে। বক্তারা আরো বলেন, পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করতে পারে না ভারত। আর ভারত এই প্রকৃত বিধ্বংসী প্রকল্প করে যে উপকার লাভের আশা করছে বাস্তবে তা অর্জন হবে না। বরং ধ্বংস হবে দুই দেশের প্রকৃতি ও সম্পদ। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য মিডিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তারা।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আনোয়ার সাদাতের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন, জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, হাওড়অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, তুরাগ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন রনি, গ্রিন ভয়েস টিচার্স ট্রেনিং কলেজের আহবায়ক মোঃ আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও সমাবেশে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।