
স্বপদে বহাল থেকেই চাকরি করছেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ২০ কর্মকর্তা। বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছেন কয়লাখনিতে কর্মরত সেই মামলায় স্বাক্ষী জুনিয়র কর্মকর্তা/কর্মচারীরা।
দুদকের চার্জসিটভুক্ত কর্মকর্তরা স্বপদে বহাল থেকে চাকরি করায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে খনির অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসীন্দাদের মাঝে।
তারা জানান, কয়লা গায়েবের ঘটনায় অভিযুক্তরা স্বপদে বহাল থেকে চাকরি করায় খনির আরও বড় রকমের ক্ষতিসাধন হতে পারে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ গ্রাম সম্বনয় কমিটির উপদেষ্ঠা মশিউর রহমান বুলবুল বলেন, দুদকের তদন্তে ও অভিযোগপত্রে যারা অভিযুক্তরা স্বপদে বহাল থাকায় কয়লা গায়েবের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের এখন পদে পদে হয়রানি হতে হচ্ছে। এ জন্য তিনি মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইনানুগভাবে তাদের পদচ্যুত করার দাবি জানান।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে সকল সাংবাদিকগণ কয়লা গায়েবের ঘটনায় একাধিক সংবাদ পরিবেশন করেছেন তারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের হাতে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গিয়ে দেখা যায়, খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ব্যবস্থাপক সৈয়দ হাছান ইমাম সাজু। সে দুদকের দেয়া অভিযোগ পত্রের অভিযুক্ত আসামি।
একই ভাবে দায়িত্বে রয়েছে দুদকের অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের হোসেন, ব্যবস্থাপক শোয়েবুর রহমান, অশোক কুমার হাওলাদার, আরিফুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহেদুর রহমান, সত্যেদ্রনাথ বর্মন, সহকারী ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বের স্বপদে বহাল রয়েছেন।
এছাড়া জামিনে মুক্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক আবুল কাশেম প্রধানিয়া, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, অন্যত্র বদলি, তারাও সেখানে চাকরি করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, খনির নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) সেখানে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। পেট্রোবাংলা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিবে, সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলায অনেক বড় বড় কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ প্রয়োজন। এই জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে, সেখান থেকে মতামত আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্বপশ্চিম