
তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর)প্রতিনিধি : শীত আসলেই দেখা যায় গাছিদের খেজুরের রস সংগ্রহের দৃশ্য। এখন আর আগের মত প্রতি গ্রামে পাড়া মহল্লায় তেমন দেখা না মিললেও দুই একটা এলাকায় দেখা মেলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা গাছির। খেজুর গাছের সাথে সাথে বিলপ্তির পথে প্রায় গাছিদের।
এই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ওই দুই একজনকে দেখায় খেজুর গাছে হাড়ি দেওয়ার দৃশ্য। তবে গাছিরা জানান, যত শীত পড়বে খেজুরের রস তত মিষ্টি হবে। শীত কম হলে রসও মিষ্টি কম হয়। এক সময় গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে নানা রকম পিঠা, পায়েশ তৈরি করা হতো। এখন অধিকাংশ পরিবারে দেখা যায় বাজার থেকে খেজুরের গুড় কিনে দুধ আর গুড় মিশিয়ে তারপর তৈরি করা হয় ভিজানো পিঠা।
উপজেলার ময়না গ্রামের বাসিন্দা ও গাছি মফি শেখ বলেন, প্রথমে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে গাছের এক পাশের মাথা ছুলা হয়। তার পর ওই ছুলা জায়গায় পুনরায় চায়ছে বাঁশের নল দিয়ে হাড়ি পাতা হয়। তিনি আরো বলেন, বোয়ালমারীতে আগের তুলনায় খেজুর গাছ অনেক কম। গাছ কম হওয়ায় গাছিও কমে গেছে। তবে এখানে খেজুরের গুড়ের চাহিদা অনেক বেশি। এক কেজি ভালো মানের খেজুরের গুড়ের দাম পাঁচশত টাকা।
থানা রোডের ব্যবসায়ী মিকাইল মোল্যা, দলিল লেখক হাসিবুল ইসলাম তোরাব, কল্লোল বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, এক সময় বোয়ালমারী উপজেলায় প্রচুর খেজুর গাছ ও গাছি দেখা যেতো। সে সময় অনেক গুড় উত্তর বঙ্গে রাজশাহী, দিনাজপুরসহ অনেক শহরে যেতো ট্রেনে। খেজুরের গুড় বিক্রি করে মোটা অংকের নগদ অর্থ আয় করতো গাছিরা। এখন খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় গাছিরা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামি ১০ বছরের মধ্যে এ এলাকা থেকে খেজুর গাছ বিলপ্তির সম্ভব্যনা রয়েছে।