বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। যার মধ্যে দুইজন প্রধান শিক্ষক ও ৫০ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। কর্মরত ৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে অন্তরবর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়। তালিকা চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, যুগ্ম সচিব (পলিসি ও অপারেশন) মো. লুৎফর রহমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেন। গত ২৮ আগস্ট তিনি এ পত্রে স্বাক্ষর করেন। পত্র অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যে সকল তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি। পিতার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা। যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহ) তার নাম ও ঠিকানা। মুক্তিযোদ্ধার নাম (পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহ) মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট। এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ। উপজেলা শিক্ষা অফিস অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তালিকা প্রেরণ করেছেন।
উল্লেখ্য উপজেলার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫৭৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত ৫২ জন কর্মরত।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু আহাদ মিয়া বলেন, অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা করে পাঠিয়েছি। তালিকায় আরও দুইজন শিক্ষক ছিলেন তবে তারা আগেই অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলায় ৫২ জন শিক্ষক আছেন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নিয়োগপ্রাপ্ত। তালিকা নেওয়ার কারন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো যাচাই-বাছাই করার জন্য অধিদপ্তর থেকে তালিকা চেয়েছে।