
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :ফরিদপুরের বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ মোল্যাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পৌরসদরে অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে একাধিকবার কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেয়া, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ মোল্যা। তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি সংবা সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন।
গত ৩০ আগস্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত বরখাস্ত পত্র সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়, কমিটির শিক্ষকগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা, কোন প্রকার আর্থিক হিসাব না দেয়া, ছুটি ছাড়া বিদ্যালয় ত্যাগ করা ও স্বেচ্ছাচারীতার অপরাধে চাকুরি বিধিমালা ধারামতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ মোল্যাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ওই পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সাময়িক বরখাস্তের সাত দিনের মধ্যে কেন চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হবে না তা প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক আয়-ব্যয়ের হিসাব দেন না, কমিটির সভা ডাকতে বললেও ডাকেন না। এজন্য বিভিন্ন অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন শ্রেণিতে গিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করতে বলেছেন। লাঠিসোঠা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন শিক্ষার্থীদের। গত মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে গিয়ে দেখি স্কুলের গেট ভেতর থেকে তালা দেওয়া প্রধান শিক্ষককে গেট খুলতে বললে তিনি গেট খোলেন না। স্থানীয় এক কাউন্সিলর এসে রাগারাগি করলে গেট খোলেন।
ভেতরে শিক্ষার্থীরা তালাবদ্ধ থাকায় অনেক অভিভাবক স্কুলে এসে তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে যান। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের আইডি কার্ড বানানোর জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১১০ টাকা করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক যা কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে। স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৭০০ মত।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। পরে খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।