sliderস্থানীয়

বোয়ালমারীতে ছাগলের পিপিআর টিকা কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ

বোয়ালমারী(ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অধিনে ছাগলের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ব্যবহার দেখিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেশ জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ছাগলের ক্ষুরারোগ নির্মূলের লক্ষে মোট ৯৩ হাজার ১০০ টি পিপিআর টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় সীমার মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২২ জন মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। কমিশন ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদেরকে জন প্রতি এক টি টিকার বিপরীতে ৫ টাকা কমিশন দেওয়ার চুক্তি হয়।

প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে উপজেলায় মোট ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৫৫ হাজার অথচ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শওকত আলী ৯১ হাজার ৭০০ টি ভ্যাকসিনের খরচ দেখিয়ে জেলা কার্যালয়ে হিসাবের বিবরণী পাঠিয়েছেন বলে জানাগেছে।

সূত্রগুলোর হিসাব মতে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ৩৬ হাজার ৭০০ টি ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়তি দেখিয়েছেন। ৫ টাকা হারে যার কমিশন মূল্য দাড়ায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫ শত টাকা। এই অর্থ নিজের পকেটস্থ করার লক্ষ্যেই ডাঃ শওকত আলী পরিকল্পিতভাবে পিপিআর টিকা ব্যবহারের হিসাবে নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী বলেন, অফিসের কেউ আমার সঙ্গে শত্রুতা করে ভুল তথ্য সরবরাহ করে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। টিকা খরচের ওই হিসাব সঠিক নয়। প্রকৃতভাবে যা খরচ হয়েছে আমি সেটাই জেলায় পাঠিয়েছি। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button