
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ১২ বছরের শিশুর বিয়ে দেয়ার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। জামালপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দেওয়ান গঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আল মাহমুদ বাশার। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জামালপুরে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সাথে ১২ বছরের একটি শিশুর বিয়ে দেয়ার ঘটনা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। সেটি আমরা নজরে নিয়ে আসছিলাম। মহামান্য আদালত জামালপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দেওয়ানগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন ঘটনাটি তদন্ত করে আগামী রোববারের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ৮৫ বছরের বৃদ্ধকে দোররা মেরে, জোর করে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বররা এই শিশুকে যে বিয়ে দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। আগামী রোববার প্রতিবেদন দেখে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশ দিবেন।
এর আগে গত শুক্রবার, ৮৫ বছরের বৃদ্ধকে দোররা মেরে ১২ বছরের শিশুর সঙ্গে বিয়ে দিলেন মাতবররা’ শিরোনামে জাতীয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতবররা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়। সালিশে বৃদ্ধ মহিরকে ১০ দোররা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেয়া হয়।