বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ‘ল্যাঙ্গুয়েজ উইদাউট বর্ডার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত সভায় ইন্টারনেট এবং মিডিয়ায় যেন ভাষাগত বৈচিত্র্য হারিয়ে না যায় এবং ভাষাকে কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ইউনেসকোর কান্ট্রি অফিস এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ক্রিটিক্যাল হেরিটেজ যৌথভাবে সুদানের খারতুমে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, অস্ট্রেলিয়া, ক্যামেরুন, মেক্সিকো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো মিশন এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেসকোর নিউইয়র্ক অফিসকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে হাইকমিশন ও ভিয়েতনাম মিশনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট। ইইউর ২৪টি দাপ্তরিক ভাষা আছে এবং জোটের কাগজপত্র, আইনের ধারা এই ২৪টি ভাষায় অনূদিত হয় উল্লেখ করে তারা মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করেছে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক)। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে তারা।
নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক ভাষা সংরক্ষণ এবং ভাষার গুরুত্বের কথা তোলেন ধরেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। বক্তব্য দানের সময় ২২টি ভাষায় কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্য ভাষা শেখার পাশাপাশি মাতৃভাষার চর্চা এবং প্রচারের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, জাম্বিয়া থেকে আগত শিক্ষার্থীরা।
জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের স্মরণে ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ এ দিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে।