sliderখেলা

বিপিএল : জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল চট্টগ্রাম

শুরু হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচেই ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে-এ বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ ম্যাচ।
টসে হেরে মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলে সিলেট থান্ডার্স। জবাবে ইমরুল কায়েসের বিধ্বংসী আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুরে সিলেটের বিপক্ষে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রায়াদ এমরিত। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে নেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। সূচনালগ্নেই ফিরে যান রনি তালুকদার। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি করে তাকে ফেরান রুবেল হোসেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম উইকেটশিকারী হন তিনি।
রনি ফিরলেও দারুণ খেলতে থাকেন অপর ওপেনার জনসন চার্লস। মোহাম্মদ মিঠুনের কাছ থেকে পান যোগ্য সহযোদ্ধার সঙ্গ। তাতে রীতিমতো চোখ রাঙান তিনি। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটার। তার চোখরাঙানি থামান নাসুম আহমেদ। ফেরার আগে ২৩ বলে ৭ চারে ঝড়ো ৩৫ রান করেন চার্লস।
সেই রেশ না কাটতেই এমরিতের শিকার হয়ে ফেরেন জীবন মেন্ডিস। ফলে সিলেটের রানের চাকা স্লো হয়ে যায়। ১০ ওভার হয়ে গেলেও ছক্কার দেখা মেলেনি। অবশেষ সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচান মোহাম্মদ মিঠুন। ১০.৫ ওভারে মুক্তার আলিকে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন তিনি। এটিই এবারের বিপিএলের প্রথম ওভার বাউন্ডারি।
এরপরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন মিঠুন। পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান তিনি। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এ পথে ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে নেই কোনও চারের মার।
এদিকে মিঠুন যখন মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন, তখন বেশ রয়েসয়েই যেন খেলছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান মিঠুন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংসে মাত্র ৪৮ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৮৪ রান করেন তিনি।
চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও রায়াদ এমরিটের ঝুলিতে যায় ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, ১৬৩ রানের। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে ইমরুল কায়েসের বিধ্বংসী আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে দলটি। মিরপুরে চলতি বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সকে ৫ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখেই হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
রান তাড়ায় নেমে ২০ রানের মধ্যেই জুনায়েদ সিদ্দিকী (৪) আর নাসির হোসেনকে (০) হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। ঝড় তুলতে চাওয়া আভিষ্কা ফার্নান্ডোও ২৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তারপর রায়ান বার্লও (৩) ফিরে গেলে ৬৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম।
সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন চার নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস। পঞ্চম উইকেটে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ৫২ বলে ৮৬ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৩৮ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড় তুলে শেষ পর্যন্ত ইমরুল ফিরেছেন ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে। ততক্ষণে অবশ্য জয় বলতে গেলে নিশ্চিতই হয়ে গেছে চট্টগ্রামের। ১৪ বলে দরকার তখন ১৩ রান। ওয়ালটন ৩০ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button