সুবীর কুমার সরকার, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) : পেয়াঁজ আর্দ্র জলবায়ুতে ভাল জন্মে। ঘিওর উপজেলার সনাতন পদ্ধতিতে পেয়াজঁ চাষ চলে আসছে। ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন নীচু এলাকা হওয়ায় দীর্ঘ দিন বর্ষার পানি থাকে কৃষকদের জমিতে ফসল ফলাতে দেরি হয়ে য়ায় তাই চলতি বছরে বারসিকের সহযোগিতায় বর্ষার পানি চলে যাবার পর পর কেল্লাই গ্রামের মো, রউফ মিয়া ও গাংডুবী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম (রফিক) ০২ জন কৃষক পরীক্ষা মূলক বিনা চাষে কাদাঁর ভিতর সাগা পেয়াঁজ রোপন করেন। কোন চাষের দরকার নাই। জমিতে পানি থাকবে না, তবে জমি ভিজা থাকবে। পেয়াঁজ রোপনের পর সমস্ত জমি খড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয় এভাবে ০৯ নভেম্বর ২০২০
তারিখে পেয়াঁজ রোপন করেন। পেয়াজ রোপনের আগে জমিতে খৈইল ব্যাবহার করেন।
কেল্লাই গ্রামের কৃষক মো. রউফ মিয়া (৫৮) তার পেয়াঁজ ক্ষেতে সঠিক পরির্চচা করেন,ধীরে ধীরে পেয়াঁজ গাছে পেয়াঁজ বড় হতে থাকে তা দেখে নিজে মনে করেন এ পদ্ধতিতে পেয়াঁজ চাষ করলে কৃষকের কৃষি খরচ কম হবে এবং ফলন ও বেশী হচ্ছে। তার জমিতে প্রতিদিন কোন কোন কৃষক দেখে যাচ্ছে এবং এ পদ্ধতির আগ্রহ বাড়ছে।
পেয়াঁজ উওোলনের দিন বারসিকের সহযোগিতায় কৃষিবিদ রওশন আলম জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মানিকগঞ্জ কে নিয়ে পেয়াঁজ উওোলনের মাঠ দিবস পালন করার মাধ্যমে এলাকার আরো কিছু কৃষকদের পেয়াঁজের ফলন দেখাতে নিয়ে আসেন। কেল্লাই গ্রামের কৃষক আজাদ মিয়া আগামী মৌসুমে ৩০ শতাংশ জমিতে এ পদ্ধতিতে পেয়াঁজ রোপন করার কথা উল্লেখ করেন। কৃষক বাসার বলেন আমি আগামীতে এভাবে পেয়াঁজ চাষ করবো। নালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রউফ মিয়া আগামীতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষ করবেন।
কৃষক গবেষক ফোরামের সদস্য প্রফুল্ল কুমার মন্ডল পেঁয়াজ রোপনের তারিখ গুনে দেখেন ২ মাস ১৫ দিনে পেয়াঁজ উওোলন করা যায়। আর সনাতন পদ্ধতিতে পেয়াঁজ আসতে ৩ মাসের বেশী সময় লেগে যায় তখন পেয়াঁজের দাম কমে যায় আমরা যদি আগাম পেয়াঁজ ঘরে তুলতে পারি তাহলে দাম ও বেশী পাব তাই আমিও আগামীতে বিনা চাষে কাদাঁয় পেয়াঁজ রোপন করবো আর পেয়াঁজ ঢেকে দেবার জন্য কচুরী পানা শুকিয়ে রাখবো। কৃষিবিদ রওশন আলম জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মানিকগঞ্জ ০২ টি কাঁদায় পেঁয়াজ রোপনের ক্ষেত ঘুরে দেখেন এবং কৃষকদের নানা মূখী পরামর্শ দিয়ে যান। এ সময় এলাকার কৃষক ও গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন আর বারসিকের মাসুদুর রহমান ও সুবীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।