শিবালয় প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা ও কোম্পানির আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শতাধিক শ্রমিককে কারখানায় ঢুকতে বাধা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতকাল সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির ওয়্যারহাউসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা, আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগসহ ওয়্যারহাউস পরিচালনার যাবতীয় কাজ আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে ১৫ বছর ধরে করে আসছিল জাকির ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জেটি ইন্টারন্যাশনালের সব চুক্তি বাতিল করে বিএনপিপন্থি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন চুক্তির দাবিতে স্থানীয় এবং উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা গতকাল সকালে শ্রমিকদের ওয়্যারহাউসে ঢুকতে বাধা দেন।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই ওয়্যারহাউসের কর্মীদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি নেতাকর্মীর এ চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গটি নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চুক্তি বাতিল না করায় কর্মীদের ওয়্যারহাউসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিএনপিপন্থি শ্রমিক নেতাদের।
জাগীর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেকের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এরশাদ খান, সাটুরিয়া থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
জেটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ওয়্যারহাউসের ফকলিপ ড্রাইভার মো. নুরুজ্জামান বলেন,গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে ফ্যাক্টরির সামনে গাড়ি থেকে নেমে অনেক লোকজন দেখতে পান। কারখানায় ঢোকার সময় তারা শ্রমিকদের বাধা দেন। ফলে শ্রমিকরা কেউই কারখানায় ঢুকতে পারেননি।
নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনের হাজিরা অনুযায়ী তারা বেতন পান। তাদের তো কোনো দোষ নেই। কোম্পানির লোকজনের সঙ্গেও তাদের দেখা হয়নি। তারাও কোনো নির্দেশনা দেয়নি। কাজ কতদিন বন্ধ থাকবে, তাও জানেন না।
ওয়্যারহাউসের স্কেল অপারেটর জাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস থেকে স্থানীয় বিএনপিপন্থি লোকজন জাকির ট্রেডার্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এটা সম্পূর্ণ কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা কোম্পানিকে বিষয়টি জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
ওয়্যারহাউসের পিপল অ্যান্ড কালচার অফিসার সোহেল হোসেন বলেন, তারা বিএনপিপন্থি নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিষয়টি শিগগির সমাধান হবে।
এদিকে জাকির ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমানুল্লাহ বলেন, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা দ্রুত এ সংকট সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন।