বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বামেরা হাত মেলায় কিভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বাম-অতি বামরা কীভাবে হাত মেলায় প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিছু বাম দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চায় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী ও খুনিরা কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কোথায় বামপন্থী আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এজন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ!
তিনি বলেন, বারবার বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা আসতে দেয়া হয়নি। যারা ’৭৫ এর পর ক্ষমতায় এসেছিল, তারা চায়নি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাক। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
ক্ষমতাশীনদের পরাজিত করে মানুষের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ২১ বছর মানুষের ভাগ্যে জুটেছিল শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতন।
বৈশ্বিক সংকট বিবেচনা করে সবাইকে আগাম সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের সাশ্রয়ী ও সঞ্চয় করে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতে আর ভর্তুকি মূল্যে দেয়া সম্ভব হবে না উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।