পি.কে রায়,চিরিরবন্দর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশা শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ঝরে পড়া রোধে (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী)শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৯মে) সকাল ১১টায় ‘আশা শিক্ষা কর্মসূচি’র শিক্ষা সুপার ভাইজার মো. হাবিবুর রহমান এর সঞ্চালনায় ও বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা শিক্ষা কর্মসূচী’র সিঃ ডিঃ ম্যানেজার মোঃ রুহুল সরওয়ার খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আজাদুল হক সিঃ এডুকেশন অফিসার, বিক্রম জিত বিভাব মিশ্র আর এম চিরিরবন্দর-১, মোঃ মতিউর রহমান এডুকেশন অফিসার, মোঃ আব্দুল হকিম বি এম চিচিরবন্দর-১, গোপেন চন্দ্র রায় এসবিএম চিরিরবন্দর-২, মোঃ সাইদুজ্জামান পি.সি., বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ নাজনিন, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো.আমিনুল হক।
এসময় প্রধান অতিথি আশা শিক্ষা কর্মসূচী’র সিঃ ডিঃ ম্যানেজার মোঃ রুহুল সরওয়ার খান বলেন, “ঝড়ে পড়া রোধে শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। ২০১১ সাল থেকে ‘আশা’ দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির শিশু ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনা হয়েছে। আগামীতে ৯ম, ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে এ কর্মসূচীর আওয়াতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে “আশা’র।
মতবিনিময় সভায় আশা’র কর্মকর্তারা জানান, আশা শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি বিদ্যালয়ে ১৯২টি শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সংস্থাটির শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৫৩ জনসহ সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে।
বক্তারা আরও জানান, “আশা ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সকল জেলায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি ২০১১ সাল থেকে শিশু থেকে ২য় শ্রেণি, ২০২০ সাল থেকে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি এবং ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে”। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে বেশি ফেল করে প্রাইভেট না পড়ার কারনে এবং এই চারটি বিষয় ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝে কম। অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমাদের আশা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়”।
এসময় একজন অভিভাবক বলেন, “আশা এনজিও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ১শত টাকায় চারটি বিষয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে, আমাদের পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য অনেক ভাল হয়েছে”।
অন্য একজন অভিভাবক বলেন, “আমাদের ছেলে-মেয়ে অনেক আনন্দের সাথে আশার পাঠদান কেন্দ্র আসে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক দুর্বল ছিল স্কুলের পাঠদানের পাশাপাশি আশার পাঠদান কেন্দ্র অনেক অগ্রগতি হয়েছে”।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আজিজুর রহমান, মোছাঃ রেহেনা বানু, মোছাঃ মোসফেকুন নাহার, মোঃ খাদেমুল হক,মোঃ রাকিবুল ইসলাম, ধরীত্রী রায়, দিপক কুমার রায়, মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ শাহানুর কবির, মিলন সরকার, মোছাঃ শাপলা আক্তার, মোছাঃ রেহেনা আক্তার, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোছাঃ রুহে জান্নাত, মোঃ সোহানুর, মোঃ শরিফুলসহ সহকারি শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীগণ।