sliderস্থানীয়

বালিয়াডাঙ্গী’র বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম, রাষ্ট্রীয় দাফন চান না, জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর পর নিজের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। সম্প্রতি তিনি গত ১৯ মার্চ রোববার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বরাবরে এ আবেদন করেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদনটি পাওয়ার বিষয়টি জানান, দপ্তরে কর্মরত অফিস সহকারী মো. আলম, তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘চিঠিটা আমি পড়েছি। সকলেই সম্মান চান, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম সম্মানটা পাওয়ার পরও নিতে চান না​। বিষয়টি আমার কাছেও অবাক লেগেছে। এর আগেও একবার এমন চিঠি দপ্তরে জমা দিতে এসেছিলেন তিনি।’এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করি। তা ছাড়া আবেদনটি তিনি (বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম) হয়তো দপ্তরে এসে দিয়ে গেছেন। আমি এখনো দেখিনি। তবে কেন তিনি এমনটা চাচ্ছেন, সরাসরি আসলে আমি জানার চেষ্টা করব। এর বাইরে এটি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলামের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামে। তিনি ঐ এলাকার মৃত সফিজ উদ্দীনের ছেলে। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর-৮৯৭, এফ এফ নম্বর-২০৭৭, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর-০৩১০০৩০০৬০। মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল তাঁর আবেদনপত্রে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার বহর দেখে চেতন মুক্তিযোদ্ধারা দুঃখিত, ব্যথিত, লজ্জিত ও অপমানিত। মৃত্যুর পর আর অপমানিত হইতে চাই না। আমাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করবেন না।’বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করতে আমরা জীবন বাজি রেখেছিলাম। দেশ স্বাধীনের পর আমাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দেওয়া হচ্ছে এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হচ্ছে। এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। অথচ গত কয়েক বছরে মুক্তিযুদ্ধ না করেও অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সম্মানের সাথে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হচ্ছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button