গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বিক্রি। চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। প্রথম দিনে পাঁচ জন কিনেছেন মনোনয়ন পত্র। এদের মধ্যে সহসভাপতি পদের জন্য কিনেছেন বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং মহিউদ্দিন মহি।
এছাড়া ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সেক্রেটারী টিপু সুলতান এবং নোফেল স্পোটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন ভইয়া শাহীন মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন সদস্য পদের। তাবিথ আউয়াল এবারও স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বলে জানান। কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফে বর্তমান কমিটির যে প্যানেল তারা আজ মনোনয়ন পত্র কিনবেন বলে জানান বাফুফে সদস্য ও সত্যজিৎ দাশ রুপু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাফুফের এই নির্বাচন পেছানোর দাবী করেছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায়। অবশ্য পেছানোর আবেদন করার পাশাপাশি নির্বাচনী প্যানলে তৈরীর কাজও করছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। কাল সভা শেষে জানান এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আশিকুর রহমান মিকু।
কাজী সালাউদ্দিনের সম্ভাব্য প্যানেলে ছিলেন বর্তমান সদস্য এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন। কিন্তু গত পরশু বাফুফে ভবনে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তিনি। নিরাপত্তা রক্ষী তাকে চিনতে না পেরে তার প্রবেশের অনুমতি নিতে যান বাফুফের সংশ্লিষ্টদের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হন মুন। আগেও এই ধরনের বিপত্তিতে পড়েন সাবেক কৃতি ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু সহ অনেকে। কাল মুন জানান, ‘আমি কোনো ভাবেই সালাউদ্দিন ভাইয়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করবো না।’ উল্লেখ্য ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার বাফুফে ভবনে আসার দিন এক নিরাপত্তা কর্মী বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং কে স্পোর্টস এর সিইও ফাহাদ করিমকেও বাফুফে ভবনে প্রবেশে বাধা দেন চিনতে না পেরে।
বাদল রায় এবং জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, দেশে দ্বিতীয় করোনা ওয়েভ চলছে। বাফুফের কমপক্ষে ২০ জন ডেলিগেট করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রয়েছেন আইসোলেশনে। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে ৩ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট দেয়া এবং এখন মনোনয়ন পত্র কেনা জমা দেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বাদল রায় উল্লেখ করেন, আমি সহ বাফুফে সদস্য শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, ফজলুর রহমান বাবুল, শেখ মোহাম্মদ আসলাম করোনা আক্রান্ত। তাই এ অবস্থায় নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করার আবেদন জানাচ্ছি।’ তার অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন না এই তথ্য পেয়েছি। কাল অবশ্য বাফুফে জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এমন কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয়নি।
একই সাথে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকবেন এটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত। সুতরাং করোনা আক্রান্ত ডেলিগেটকে বাফুফের কংগ্রেসে আসার অনুমতি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই তার ভোট দেয়ারও সুযোগ নেই। তার জন্য আলাদা ভাবে ব্যালট দিয়ে ভোট নেয়াও যাবে না।