sliderখেলা

বাজে হারে সিরিজও হাতছাড়া বাংলাদেশের

লক্ষ্য বিশাল, ১৯১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে এই রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার লিটন দাসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে একরকম বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এই বাজে হারে সিরিজও হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে তারা হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।
মূলত ব্যটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশ এই ম্যাচে হেরেছে। একমাত্র লিটন দাস ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। লিটন ২৫ বলে ৪৩ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলেন। অবশ্য তাঁর এই ইনিংসে নো বল নিয়ে আম্পায়ারের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ম্যাচে খানিকটা উত্তেজনা ছড়ায়।
তবে লিটন ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। বেশিরভাগই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেসার আবু হায়দার রনির, ২২ রান।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এভিন লুইসের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে বিশাল সংগ্রহ গড়ে। মাত্র ৩৬ বলে ৮৯ রানের চমৎকার ইনিংসটি খেলেন লুইস যাতে ছয়টি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। তাঁর সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা শেই হোপ ১২ বলে ২৩ রান করেন। শেষ দিকে নিকোলাস পুরান ২৪ বলে ২৯ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের বোলাররা যখন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় ছিল, তখন ব্যাতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩.১ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন তিন উইকেট। তা না হলে রানের পাহাড় গড়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। সমান ওভার বল করে ৩৯ রান খরচায় তিন উইকেট পান সাকিবও।
ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। উইনিং কিম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের দল।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আট উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছিল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৬ রানে জিতে সমতায় ফিরে। এর আগে টেস্টে ২-০তে হোয়াইটওয়াশ করে এবং ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এনটিভি

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button