বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সরকারি পুকুর থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা পরিষদ বাঘাইছড়ি বিশ্রামাগার এর কেয়ারটেকার মোঃ শাহজাহান কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সরকারি পুকুরে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে মোঃ শাহজাহান কয়েকজন যুবকদের দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীন আক্তার অভিযান পরিচালনা করে বিশ্রামাগারের ভিতর থেকে এক বস্তা মাছ জব্দ করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহজাহানকে আটক করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পত্যক্ষদর্শী আব্বাস আলী বলেন ভোরে বড় খেতাজাল দিয়ে ৫/৬ জন মিলে মাছ ধরার সময় শাজাহান দাড়িয়ে ছিলো পাশেই বড় কাতল মাছসহ অনেক মাছ ছিলো। ধারণা করা হয় অভিযানের সংবাদ পেয়ে বিপুল পরিমাণ বড় মাছ অন্যথায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার এর নির্দেশে জব্দকৃত মাছ কয়েকটি এতিমখানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক যুবক জানায় কেয়ারটেকার শাহজাহানের চাকরি ছিলো পাকুজ্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাইট গার্ড হিসাবে, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে সে জেলা পরিষদ বাঘাইছড়ি বিশ্রামাগারে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই থেমে নেই শাহজাহান অভিযোগ রয়েছে, বিশ্রামাগারে নিয়মিত মাদকের আসর, বিভিন্ন জায়গায় থেকে নারী এনে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িত। কিছুদিন আগেও স্থানীয় লোকজন দুজন স্কুল পড়ুয়া নারীসহ কয়েকজনকে আটক করে পরে তাদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও সীমান্ত সড়কের বালি ও ইটের ব্যাবসার পাশাপাশি নামে বেনামে রয়েছে ঠিকাদারি ব্যাবসা সেখানেও প্রভাব বিস্তার করে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাছ চুরির বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাজাহান এর বার বার ফোন করেও কোন সারা পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান তার বিষয়ে সব ধরনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে এছাড়াও মাছ চুরির সাথে আরো কেও জড়িত কিনা সেটিও তদন্ত চলছে। পত্যাককেই আইনের আওতায় আনা হবে।