sliderশিরোনামশীর্ষ সংবাদ

বাংলাদেশ-বার্মা সমঝোতা: দু’মাসের মধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করবে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আগামী দু’মাসের মধ্যে শুরু হবে।
মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছে তাতে একথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এই সমঝোতা হয়।
রাখাইন থেকে গৃহচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশ গত কয়েকমাস ধরে আলোচনা চালাচ্ছিল বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এই সমঝোতাকে কূটনীতির ভাষায় ”অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অফ ডিসপ্লেসড পারসনস ফ্রম রাখাইন স্টেট” বা রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনার সমঝোতা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের অফিসে সমঝোতার দলিল চূড়ান্ত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে ইউনিয়ন মিনিস্টার ইউ চ্য টিন্ট সোয়ে সমঝোতা দলিলে সই করেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

ওদিকে মিয়ানমারের সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাস্তু-চ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ঘটবে তাদের পরিচয় যথাযথভাবে যাচাই করার পর। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে দুই দেশের তরফে যে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয় তার মধ্যে এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা এবং নীতিমালা ছিল।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করে মিয়ানমারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সমস্যা শান্তিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ সমঝোতাকে ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ বা দু’পক্ষের জন্য বিজয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে এব্যাপারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে থেকে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button