বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করল নেপাল
পতাকা ডেস্ক: বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে হিমালয়ের দেশ নেপাল। এর মাধ্যমে ভারতের পর বিশ্বের তৃতীয় কোনো দেশ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিনহুয়া। এতে বলা হয়, শুক্রবার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ভারত হয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে শুরু করেছে নেপাল।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি উপদেষ্টা মো: ফাওজুল কবির খান, ভারতের বিদ্যুৎবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল ও নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী দীপক খাডকা অংশ নেন, ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠানো হবে।
চলতি বছরের মে-জুনে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ড ভারত সফরের বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে ৩ অক্টোবর এ চুক্তি সই হয়। চলতি মাসের শুরুতে কাঠমান্ডুতে বিদ্যুৎ রপ্তানির এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। নেপাল বিদ্যুৎ বিভাগের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী নেপাল ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মাত্র একদিনের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে নেপাল। অর্থাৎ বছরে মাত্র পাঁচ মাস ঢাকায় আসবে কাঠমান্ডুর বিদ্যুৎ। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ৪ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার)। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত টাকা। যার মধ্যে ভারতের সঞ্চালন লাইনের খরচও থাকবে। দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে নেপাল। তারমধ্যে ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে। বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত ভারতীয় গ্রিডের সীমিত অতিরিক্ত ক্ষমতার কারণে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। নেপাল জানিয়েছে আরও ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের পর আগামী বছর থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ভারতে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি করে আসছে নেপাল। বর্ষা মৌসুমে তারা অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে বলে তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও তা রপ্তানি করতে পারে।