করোনা থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের বিকল্প নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামনে বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন সময় আসছে।
মঙ্গলবার নিজের সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সামনে বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন সময় আসছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সামনের কঠিন সময়। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ধৈর্যহারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি- অধিকাংশ মানুষের মাঝে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলেও, অনেকেই এসব কানে তুলছে না। স্বাভাবিক সময়ের মত ঘোরাফেরা করছেন, হাটবাজারের ভিড়ে অংশ নিচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই উদাসীনতা নিজের ও আশপাশের সকলের ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের অবনতি ঘটাচ্ছে।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমে অবনতি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১৫টি দেশ এবং অঞ্চলসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ২৩তম।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংকটের শুরু থেকে আজ অবধি শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ, গৃহীত ও বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত যখন দেশ বিদেশে প্রশংসিত, তখন মির্জা ফখরুল সাহেবেরা পুরানো নেতিবাচকতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদের দিনে মানুষের পাশে না থেকে, মানুষকে সাহস না যুগিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবেরা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও সমালোচনার তীর ছুড়ছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।
‘নিজেরা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন না, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবরও নেবেন না, অথচ মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করবেন। এটা কি বিএনপির রাজনীতি?’ প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।
বিএনপিকে কোনো কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদের দিনেও জনগণ তাদের মুখের বিষ থেকে রেহাই পায়নি। সরকার একদিকে করোনা সংক্রমণ রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছে, অপর দিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষায় পূর্ণ মনোনিবেশ করছে। এ অবস্থায় বিএনপিকে কোনো কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের গল্পের মতো।’