ডেস্ক রিপোর্ট: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছরের শাসনে সীমাহীন দলীয়করণ, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারে বাংলাদেশকে ধ্বংসাস্তূপে পরিণত করেছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে গণহত্যা চালিয়ে ছাত্রজনতার বিপ্লবের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আপামর দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সংস্কার করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে শাসনভার তুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে পতিত স্বৈরাচারের দোসরেরা অরাজকতা ও অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে চাইছে। আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার এবং সর্বক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার নিশ্চত করে কল্যাণমূলক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় ইস্ট লন্ডনের একটি কমিউনিটি হলে এবি পার্টি যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এবি পার্টি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার সাথে একাত্ম রয়েছে এবং সংস্কারের মধ্যমে যৌক্তিক সময়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে । দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে সকল হত্যাযজ্ঞ, গুম, খুন, নির্যাতন বন্ধ ও বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে । পাশাপাশি সকল স্তরে দুর্নীতি, অর্থ লুটপাট, অর্থপাচার, স্বেচ্ছাচারিতা, অপশাসন আর ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যাতে ফিরে না আসতে পারে সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এবি পার্টি কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন; সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত- এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুর্ণগঠনে রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০২০ সালের মে মাস থেকে সংগ্রাম করে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ।
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের সামনে আজ বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ। ভঙ্গুর ও বিধ্বস্থ রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের অঙ্গীকার এবং যতদ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ও এর জন্য নি:সন্দেহে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। সে সময় যথাযথভাবে কাজে না লাগালে বা বিনা কারণে অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ প্রলম্বিত হলে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবার ঝুঁকি তৈরী হয়। সেদিকে অন্তবর্তীকালিন সরকার সচেতন থাকবেন বলে আশা করে এবি পার্টি।
এবি পার্টি যুক্তরাজ্যের আহবায়ক হারুনুর রশিদের সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মাদ নূরুল গাফ্ফারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ব্যারিস্টার খান আযম, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম নোমান ও ব্যারিস্টার সাইয়েদ বাকি, যুক্তরাজ্যের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মুমিত ঝুরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সহ সম্পাদক আইনজীবী মুনসাত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহমুদুল হাসান, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সলিসিটার ফারজানা করিম, সলিসিটার মিজানুর রহমান শিপু প্রমূখ। অনুষ্ঠানে ব্রিটেনে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজন, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।