sliderস্থানীয়

বসুরহাট থেকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করব: কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা থেকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেছেন, ‘হাওয়া ভবনের তারেক জিয়া নানা অপকর্মের হোতা, সে কীসের ভোটের অধিকার কায়েম করবে? ভাতের অধিকার শেখ হাসিনা দিয়েছেন, এই সাহসী নেত্রী ইনশাহআল্লাহ পারবে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার দিতে। আমার নেত্রীকে এই বসুরহাট পৌরসভা থেকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করব’।
তিনি শুক্রবার বসুরহাট পৌরসভার ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৃথক পথসভায় এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছা তাকে দেব। শতভাগ সঠিক ভোট হবে। কোনো শয়তানি-বিটলামি এগুলো চলবে না’।
কাদের মির্জা বলেন, ‘পোস্টার ছেড়ার ব্যপারে বলব- আমার পোস্টার জামাত বিএনপির লোক ছিড়ে না। এটা ফেনী থেকে মাইজদী থেকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আন্ডু-গান্ডু দিয়ে পোস্টার ছেঁড়ায় আপনাদের গরম করার জন্য। ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য’।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই ঘোষণা করেছিলাম আমি সহস করে সত্য কথা বলব, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলব। সে প্রতিজ্ঞা নিয়েই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। এখন কিছু কথাবার্তা আমাকে বলতে হচ্ছে। এই কথাবর্তাগুলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলার জন্য বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারিনি। তিন-চারবার ওনার কাছে গিয়েছি, সেখানে যাবার পর নোয়াখালীর অপরাজনীতি নিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেছি, সুযোগ পাইনি। সেখানে গিয়ে দেখলাম কিছু লোকের কান্না, কিভাবে নেত্রী সহ্য করে বুঝি না। এটা হলো মতলবী কান্না। আর কিছু নেতাকর্মীর মতলবী কথা। কত সাজিয়ে-গুছিয়ে তারা বলে। এগুলো আমরা জীবনেও পারব না। এটার জন্য ট্রেনিং নিতে হবে’।
আওয়ামী লীগের এক নেতাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন কাদের মির্জা বলেন, ‘একজন নেতা বলেছেন- আমি তার নাম বলতে চাই না। আমার কথাগুলো নাকি পাগলের প্রলাপ। উন্মাদের মতো আমি কথা বলেছি। সেই নেতা আগে মন্ত্রী ছিল, এখন মন্ত্রী নেই। হিসেব করে চাইবেন। আমি ওনাকে খাট করতে টোচাইনা। আপনারা বুঝে নেন। আগে মন্ত্রী ছিল, এখন নেই। আার এমন জায়গা থেকে এমপি হয় যেখানে ৯৯ ভাগই আওয়ামী লীগ। উনি দায়িত্বশীল লোক, আমাদের নেতা, উনি যদি ওনার অবস্থান থেকে আমাকে উন্মাদের সার্টিফিকেট দেন আমি কি তার প্রতিবাদ করতে পারব না? ওনারা এ ধরনের কথা বলা বন্ধ করুক’।
এ সময় তিনি আবারো বলেন, ‘এভাবে আমার মুখ বন্ধ করতে পারবে না। আমি নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির কথা বলবই’।
তিনি আরো বলেন, ‘আরেক নেতা, আমাকে বলে দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট ঘাটতি আছে। আমার দায়িত্বশীলতার ঘাটতি আছে। আপনি যে নেতা বললেন, কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে, আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি কোথায় ছিলেন? সম্মানের সঙ্গে বলছি- বস অলওয়েজ কারেক্ট। আমি আপনাদের খাট করতে চাই না। আপনাদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা গেয়েন্দা দিয়ে বা যেকোনোভাবে আপনারা দু’জন ফেনী ও নোয়াখালীর রাজনীতির ব্যাপরে আমি যে কথাগুলো বলেছি যদি এটা মিথ্যে হয় তাহলে যে ব্যবস্থা নেবেন তা মাথা পেতে নেব’।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই কোম্পানীগঞ্জে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির এমন কোনো জায়গা নেই সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখানে কি কাজ কম হয়েছে? ওবায়েদুল কাদের সাহেব যথেষ্ট কাজ করেছেন। এত কাজ ওবায়দুল কাদের না করলে আমি কি করতে পারতাম?’
পথসভায় আবদুল কাদের মির্জা এলাকায় সালিশ বাণিজ্য বন্ধ করা, দুর্নীতিতে জড়িততে বিচার দাবি, মাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কথা বলেন।
পথসভায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button