মাহতাবুর রহমান,বরগুনা : বরগুনায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি কান্ডে আলোচিত বন্ড গ্রুপের পর এবার আলোচিত কিশোর গ্যাং স্টার সানি (২৮)। আইনের প্রতি তোয়াক্ক না করে সানির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অত্যাচার নির্যাতনের রোষানলে অতিষ্ঠ বরগুনাবাসী।
গত ২৫ মার্চ শনিবার বরগুনা সদরের গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ মনাসাতলী এলাকায় ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে সাইফ (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কিশোর গ্যাং সানি ও তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় ওই যুবকের স্ত্রী রিপা বেগম (১৯) বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিশোর গ্যাং স্টার সানিকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মনাসাতলী এলাকার অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জেন্ট নূর আলম মোল্লার ছেলে ইমামুজ্জামান সাইফ মুসলিম পারা জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে ইফতার করার উদ্দেশ্যে বাসায় ফিরছিলেন এমতাবস্থায় কিশোরগ্যাং নেতা সানি তিনটি মোটরসাইকেলে এসে তার গ্যাং বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সাইফের ওপরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে তারা। আমরা দূর থেকে দেখেছি। ভয়ে কেহই সামনে যাইনি। সানি চলে গেলে এলাকার লোকজন তার স্বজনদের খবর দেয় তারা ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় সাইফকে নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করতো তারা। বরগুনার সবাই সানিকে ভয় পায়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, সানির নামে বরগুনা সদর থানায় কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মারধর, কুপিয়ে জখম, ইভটিজিং, অপহরণ, ছিনতাই, মাদকসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বরগুনার আশেপাশের থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে, জামিনে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে সানি। এ বিষয়ে আহতের স্ত্রী রিপা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে সানির বড় ভাই সুমনের নামেও একাধিক মামলা ছিল। ৭ বছর আগে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ভূমি দখল করতে গিয়ে গণধোলাইতে নিহত হয় সুমন।
উল্লেখ্য কিশোরগ্যাং সানি গতমাসেও প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সদর টাউন হল এলাকায় একজন ট্রাক চালককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরতর জখম করে।
