ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, সংবিধানের একটি সমস্যা আছে। সেটি হলো বন্ধু রাষ্ট্রের সমালোচনা করা যাবে না। এ বিষয়টি এখন উন্মুক্ত করা যায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোর এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত ‘৩১-দফা’ নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থাপনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ডা. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মেজর অব হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড শামসুল আলম।
অন্যদলের মধ্যে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক এনজিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
এছাড়া নরওয়ে রাষ্ট্রদুত ও পাকিস্তান হাইকমিশনা ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ, ভারত, চীন রাশিয়া, জাপান অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরবসহ ৩৮ দেশের প্রতিনিধি ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যা দাবি করেছি তার সবগুলোই ৩১ দফায় দফাই আছে। পতিত সরকার দেশকে ধ্বংসীলায় পরিণত করেছে। এ থেকে উত্তরণ কঠিন কাজ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তো এখন পলাতক। তবে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে আন্দোলন করেছে তাদের মধ্যে বিভেদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা অসম্ভব। এমন বিভেদ সংঘর্ষমূলক রাজনীতি পৃথিবীর কয়টি দেশে আছে তা আমার জানা নেই। মুক্তিযুদ্ধের যে নীতি সাম্য ন্যায্যতা ইনসাফ এগুলোর মূলনীতি করা যায়।
তিনি আরো বলেন, দেশকে আটটি প্রদেশের ভাগ করা দাবি জানিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। এ দাবির সাথে একমত হওয়া যায় না। এমনিতে আমাদের পার্শ্ববর্তী আছে ভারত। তারা আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণকারী দেশ। তাদের কয়েক মাসের কার্যক্রমগুলো দেখ দেখলে, দেখা যায় তারা খুব তৎপর।
তিনি বলেন, আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা, দেশকে অস্থিতিশীল করবে। এটি দেশের জন্য হুমকি। তবে কোয়ালিশন হলো স্থিতিশীল ব্যবস্থা ভিত্তি।
আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট এলিনা খান, ইসমাইল জবিউল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়েতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ববিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএ,র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।