sliderশিরোনামস্থানীয়

বদরগঞ্জে এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ১৩ আগস্ট মধ্যরাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজীপুর এলাকার মৃধাপাড়ায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বলছে- বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেছেন, পুলিশ তদন্ত না করে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী একজন বাক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে। ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ করতে অক্ষম হওয়ায় ওই নারীর আয়ে সংসার চলে। ওই নারী ইট পোড়ানোর মওসুমে ইটভাটায় শ্রম দেন। আবার ইট পোড়ানোর মওসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। কিন্তু তাকে চলার পথে প্রতিনিয়ত নানা প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান প্রতিবেশী আব্দুল কাফির ছেলে এমদাদুল হক(৪৫)। এতে রাজি না হওয়ায় ১৩ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করেন এমদাদুল হক। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে ওই নারী চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এসময় কৌশলে পালিয়ে যান এমদাদুল হক। বিষয়টি এলাকার লোকজনের মাঝে জানাজানি হওয়ার কারণে সম্মানহানী হয়েছে এমদাদুল পরিবারের- এমন অজুহাত তুলে মধ্যরাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই প্রতিবন্ধীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় এমদাদুলের নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে ওই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলায় পা তুলে দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন এমদাদুল হক। এদৃশ্য দেখে ওই নারীর ছেলে মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক পেটানো হয়। পরে এলাকার লোকজন একজোট হয়ে ওই বাড়ির দিকে এগিয়ে আসলে এমদাদুল তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এরপর এলাকার লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় মা ও ছেলেকে উদ্ধারের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এবিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি(তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেছেন, পুলিশ তদন্ত না করে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button