sliderউপমহাদেশশিরোনাম

বক্সার জঙ্গলে ফের ট্রেন চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল হাতিদের

 জঙ্গলের বুক চিরে চলে গেছে রেলপথ। ডুর্য়াসের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকাতে চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সুফলও মিলছে তার। আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গলে ফের চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেল হাতির দল।

পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্স। বক্সার জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে যখন ট্রেন চলে, তখন আশেপাশের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হন যাত্রীরা। আবার রেললাইন পেরনোর সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঘোরে মরতে হয় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, ট্রেনের চালকদের অসর্তকতা ও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে এমন দূর্ঘটনা ঘটে। রেলের তরফে দুর্ঘটনা ঠেকানোর চেষ্টা যে হয়নি, তা নয়। অবশেষে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ট্রেনের চালকরা যে সচেতন হচ্ছে, তারই প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার বিকেলে।

ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। আলিপুরদুয়ারে কালচিনি থেকে রাতভাতখাওয়ার দিকে যাচ্ছে কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বক্সার জঙ্গলে মধ্যে বেশ দ্রুতগতিতে চলছিল ট্রেন। রেল জানিয়েছে, জঙ্গলপথে বাঁক নেওয়ার পরই ট্রেনের চালক ও সহকারি চালকের নজরে পড়ে, প্রায় দুশো মিটার দূরে রেললাইন পেরোচ্ছে সাত-আটটি হাতি। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় নিরীহ প্রাণীগুলি।

এবার প্রথম নয়, গত ২৩ জুলাই আলিপুরদুয়ার জংশন ও রাজাভাত খাওয়ার মাঝে বক্সার জঙ্গলে হাতি দেখে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন ধুবড়ি-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জারের চালক। আর বক্সার জঙ্গলে ট্রেনের গতি কমিয়ে হাতির প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ধুবড়ি-শিলিগুড়ি ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ও রাজাভাতখাওয়ার মাঝে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল ২৫ জুলাই। দুটি ট্রেনের চালক, সহকারি চালক ও গার্ডকে পুরস্কারও দিয়েছে রেল। খুশি পশুপ্রেমীরাও।

দেখুন ভিডিও:

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button