slider

বইমেলায় কামাল হোসেন টিপুর রোমান্টিক উপন্যাস ‘অভিমান’

সিরাজুল ইসলাম : অমর ‘একুশে গ্রন্থমেলা’ ২০২৩ এ প্রকাশিত হয়েছে এই সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ‘কামাল হোসেন টিপু’র রোমান্টিক উপন্যাস ‘অভিমান’। ‘অভিমান’ স্কুল জীবনের প্রেমকাহিনী নিয়ে লেখা। এই উপন্যাসে লেখক এ সময়ের গতানুগতিক ‘দৈহিক ভালোবাসা’কে এড়িয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থধারার উপাখ্যান রচনায় মনোনিবেশ করেন। উপন্যাসের শুরুর দিকটা দুষ্টুমি আর হেয়ালিপনার খুনসুটিতে ভরা। এর ফাঁকে লেখক দুই তরুণ-তরুণীর মনে ভালো লাগার বীজ বুনে ভালোবাসার রস সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এক সময় তিনি সফলও হন। কিন্তু মানবপ্রেম কখনো নিদির্ষ্ট গতিধারায় চলতে পারে না। কারণ, ভালোবাসা যত গভীর হয়ে হাসে বিচ্ছেদ তত নিকটে আসে। এই উপন্যাসেও তাই হয়েছে। অর্থ্যাৎ উপন্যাসের মাঝামাঝি দীর্ঘ সাড়ে সাত বছরের বিচ্ছেদ টেনে এনেছেন লেখক। এরপর কি হলো? এরপর রোমান্টিক উপন্যাসিক কামাল হোসেন টিপু দীর্ঘ বিচ্ছেদকে পুনরায় পুরনো ভালোবাসায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

এবার এই উপন্যাসের কয়েকটি আলোচ্য উক্তি তুলে ধরা যাক, “রোমানাকে যতই দেখছি ততই ভালো লাগছে। কিন্তু হাতটা ভীষণ চুলকাচ্ছে দোস্ত। রাজিব আবিরের মাথায় ঢুঁ মেরে বলল, রোমানাকে দেখবি দেখ। কিন্তু ঢিল ছুড়বি না।”

“এত অভিমান তোমার নিহা! তোমার এই অভিমান আমাদের গেঁথেই চলেছে দীর্ঘ বিচ্ছেদের সুতোয়। নিহা, কোথায় তোমার সেই উদার মন। সেও কি তোমার মতো অভিমানী এখন! জানো নিহা, মাঝে মাঝে মনে হয় আর কোনো দিন তোমার দেখা পাবো না আমি। কোনোদিন বুঝি আর দেখা হবে না তোমার-আমার!”

“খুব ছোট্ট একটা শব্দ ‘স্যরি’। এই একটি শব্দ কি পারবে, আমার সাড়ে সাত বছরের বিচ্ছেদযন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দিতে? বলো নিহা, ‘স্যরি’ শব্দাটা কি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সাড়ে সাতটি বছর ফিরিয়ে দিতে পারবে? এই সাড়ে সাতটি বছর ধরে আমি শুধু তোমাকে খুঁজেছি।”

“তোমার স্মৃতিজড়ানো এই স্কুলআঙিনায় আমি অসংখ্য বার এসেছি। এই, এখানটায় বসেছি। বিশ্বাস না-হলে এই কড়ই গাছটাকে জিজ্ঞেস করে দেখ, তোমার অপেক্ষায় কতদিন কতবার এখানে বসে কেঁদেছি।”

‘অভিমান’ কামাল হোসেন টিপু’র নবম গ্রন্থ। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ‘অন্বেষা প্রকাশন’। বইটি পাওয়া যাবে অন্বেষা প্রকাশনের ‘১২নং প্যাভিলিয়নে’।
বইটির লেখক কামাল হোসেন টিপু ১৯৮৩ সালের ১৫ জুলাই লক্ষীপুর সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস করে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জার্নালের মফস্বল ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে তার লেখা “বেঁচে থাকা” উপন্যাসের জন্য ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের লেখক সম্মাননায় ভূষিত হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button