sliderস্থানীয়

ফেলানী হত্যা: ১১ বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি পরিবার

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নাগেশ্বরীর কিশোরী ফেলানী হত্যার এগার বছর আজ। এতদিনেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি তার পরিবার। আজ নিজ বাড়িতে পালন করা হচ্ছে ফেলানীর ১১ম মৃত্যুবার্ষিকী।
এদিকে, গত কয়েক বছর এদিনে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করা হতো। এবার ফেলানীর কবর জিয়ারত ও সেখানে সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। তিনি জানান, এ সমাবেশে তারা ফেলানীর হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি, ফেলানীর পরিবারসহ সীমান্ত আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পার্ক রোডের নাম ফেলানী সরণি রাখার দাবি জানাবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর ২০১৫ সালে তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের সদস্য যে কোনো রাষ্ট্রকে প্রস্তাব আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক ৩ নম্বর সাব পিলারের পাশ দিয়ে মই বেয়ে কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফিরছিল ফেলানী। এ সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার বাড়ি উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী গ্রামে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button