নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্কের বিশেষ মুহূর্ত দেখে ফেলায় প্রেমিকার ছোট বোনকে হত্যা মামলায় বড় বোনের প্রেমিককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাইন উদ্দিন (২৮) উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হোরনের ছেলে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি গোলাম আকবর জানান, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জাফর ড্রাইভারের মেয়ে শারমিন আক্তারের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে শারমিন আক্তার তাঁর মা-বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রেমিক মাইন উদ্দিনের সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করত। ২০১২ সালের ৮মার্চ বিকেল ৪টার দিকে শারমিনের মা বাড়িতে না থাকার সুবাদে বাড়ির পাশে নতুন খননকৃত পুকুরের মাঝখানে প্রেমিক মাইন উদ্দিনের সঙ্গে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হয় শারমিন। ঘটনাটি তাঁর আপন ছোট বোন সালমা আক্তার (৮) দেখে ফেলে এবং মা বাড়িতে এলে মায়ের নিকট প্রকাশ করার হুমকি দেয়। এরপর নিহতের বড় বোন শারমিন আক্তার ও তার প্রেমিক মাইন উদ্দিন সালমা আক্তারকে কাঠের টুকরা দিয়ে আঘাত করে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।
অতিরিক্ত পিপি আরো জানায়, তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করে আদালত। রায় ঘোষণার পর আসামিকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে, আসামি শারমিন আক্তারের বয়স তৎকালীন সময়ে ১৬ হওয়ায় তাহার বিরুদ্ধে শিশু আইনে শিশু আদালতে মামলার বিচার চলমান।