
নাসির উদ্দিন, হরিরামপুর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরে চরাঞ্চলে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে নটাখোলা গ্রামে প্রাকৃতিক জলাশয়, পুকুর, মাইটাল, খাল ডোবা ও নদীর কোল রক্ষার দাবিতে কৃষকেদর মানববন্ধন করেছেন।
বেসরকারী গবেষণা উন্নয়ন ধর্মী প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষক সংগঠন, যুব জলবায়ু স্বেচ্ছা-সেবকটিম ও হরিরামপুর সবুজ সংহতির আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয।
এতে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পাটগ্রামচর, নটাখোলা বালিয়াচর, গঙ্গাধরদি ও হরিহরদিয়া গ্রামের কৃষক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, যুবক, ইউপি সদস্য ব্যবসায়ী সহ শতাধিক বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে এলাকাবাসী লিফলেট, ব্যানার, পোষ্টারের মাধ্যমে চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক জলাশয়, ডোবা, মাইটাল ভরাট বন্ধ ও পুনুঃখননের দাবি তুলে ধরেন।
হরিরামপুর উপজেলা লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন একটি কৃষি ভিত্তিক অঞ্চল। প্রতি বছর বন্যা হওয়ার কারনে মাটিতে পলি পড়ে মাটির উর্ব শক্তি বৃদ্ধি পায়। আর এই পলি দোআঁশ মাটিতে আউশ, আমন ধান, পাট সরিষা, গম ও ডাল জাতীয় ফসল চাষ হয়। বিশেষ করে চরাঞ্চলে দিন দিন নতুন রাস্তাঘাট নির্মান , বসতবাড়ী তৈরি, খাস জমি দখল সহ নানা কারনে চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক জলাশয়, মাইটাল, ডোবা, খাল নদীর কোল কমে যাচ্ছে।
ফলে কৃষকরা অনেক ফসল চাষ করতে পারছে না। বিশেষ করে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দিন দিন কমে যাওয়ার কারনে কৃষকরা পাট চাষ করে জাগ দেওয়ার জায়গা পাচ্ছে না।
মানবন্ধনে অংশগ্রহনকারী কৃষক এরশাদ মুন্সী বলেন, যদি দিন দিন এলাকায় থেকে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো কমে তাহলে চরে বৈচিত্র্যময় ফসল চাষ হারাবে। কৃষকদের ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাবে। প্রাকৃতিক জলাশয় ডোবা খাল না থাকলে চরের মানুষের বন্যার সময় ডিঙ্গি নৌকাগুলো রাখার জায়গা পাবে না।
নটাখোলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য নবীরন বেগম বলেন, চরের ছোট ছোট প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো ভরাট বন্ধ করা প্রয়োজন এবং পুনঃখনন করা দরকার । তাহলে গ্রামের সকল মানুষ জলাশয়গুলোর পানি ব্যবহার করতে পারবে এবং কৃষি কাজে লাগাতে পারবে।
লেছড়াগঞ্জ ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, চরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে যাতে পুকুর, ডোবা, প্রাকৃতিক জলাশয় নষ্ট না হয় সে বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আলোচনায় আরো অংশগ্রহন করেন, হরিরামপুর সবুজ সংহতি কমিটির সদস্য মিঠু, শিক্ষক রতন বারসিক কর্মকর্তা মুকতার হোসেন ও সত্যরঞ্জন সাহা।