সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আয়-ব্যয়ের হিসাব পেলেও বাজেটে স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাজেট এখন ছক বাঁধা বাজেটে পরিণত হয়েছে। কাঠামোগত সংষ্কারের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে প্রস্তাবিত বাজেট নতুন করে সাজানো দরকার।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন দিকে নিয়ে আলোচনার জন্য গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুজন। আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকরা।
বৈঠকে সুজন সম্পাদক বলেন, বাজেট শুধু দিলেই হবে না। সেই বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য কি আছে সেটা নিশ্চিত করা দরকার। যাদের টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন হয়ে থাকে, দেশের উন্নয়নের জন্য বাজেট দেওয়া হবে আর সেই বাজেটে সাধারণ জনগনের জন্য কিছু থাকবে না এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বাজেটে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। দরকার মানুষের অবস্থান ও অবস্থানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো। বিশেষ করে দরকার দরিদ্র মানুষের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো। বর্তমানে আমাদের বাজেট হয়ে গেছে অনেকটা ছকবাধা, তাই বাজেটের কাঠামোগত সংস্কার দরকার বলে আমি মনে করি।
সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমরা দেখেছি, বাজেটে কৃষকের সমস্যা দেখা হয়নি। ধানের উৎপাদন মূল্য কম হওয়ার জন্য ভর্তুকি দেওয়ার দরকার ছিল, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ বাজেটে নেওয়া হয়নি। হলফনামার তথ্যানুযায়ী, আমাদের অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষ ধনীদের একজন। তিনি আমাদের মতো দরিদ্রদের জীবন নিয়ে কতটা ভাববেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
অর্থনীতিবীদ ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন খাতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় পরিমাণ ও গুণগত মান ঠিক রেখে তা কতটা বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। বাজেটে জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারের আগ্রহ দেখা যায়, অন্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আগ্রহ দেখা যায় না।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, জুনাইদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।