sliderখেলা

প্রথম দিন শেষে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

দলে দুই স্পিনার, দুই পেসার। এমন একাদশ নিয়ে দিনটা ভালো কাটলো না বাংলাদেশের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের প্রথম ইনিংস। এরপরের গল্পটা আরও অস্বস্তিদায়ক। চেতেশ্বর পূজারা ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৭২ রানের জুটির ওপর ভর করে বরং স্বস্তির দিন কাটলো ভারতের। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান। সফরকারীদের থেকে এখনও তারা পিছিয়ে আছে ৬৪ রানে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৫ উইকেটে ১৪০ থেকে আর ১০ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। অনেকটা সাবধানী ব্যাটিং করার পরও দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় তাদের। টাইগার পেসার আবু জায়েদ রাহীর বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। ১৪ বলে ১টি চারের মারে মাত্র ৬ রান করেন ভা্রতীয় এ ওপেনার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকা ইমরুল কায়েস দলীয় ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উমেষ যাদবের শিকার হন। বল খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত হন। ১৮ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পরের ওভারের শেষ বলে ইশান্ত শর্মার গতির কাছে হার মানের আরেক ওপেনার শাদমান ইসলাম। তিনি ২৪ বলে ৬ রান করেন। তার আউটের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।
রান রেট কম থাকলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তিনিও থিতু হতে পারেননি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামীর ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। ৩৬ বলে ১২ করেন এই ডানহাতি।
৩৮তম ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ভেতরে আসা একটি বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুমিনুল হক। ৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন এ ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া এই বাঁহাতি। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মুমিনুল ও মুশফিক।
অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমদুউল্লাহ। দলীয় ৪৬ ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩০ বলে ১০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে পেসার মোহাম্মদ শামীর বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ বলে ৪৩ করা এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। পরের বলেই এলবি হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ফিরলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে মাঠ ছাড়েন শামি।
তৃতীয় সেশনে মাঠে ফিরেই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন লিটন দাশ। ৩১ বলে ২১ করা এই ব্যাটসম্যান স্লিপে থাকা বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পতন হয়।
বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদন হোসেন যাদবের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত দুই রানে। তার আগে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম। আবু জায়েদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান মোহাম্মদ শামী। আর দু’টি করে উইকেট ভাগ করে নেন ইশান্ত, যাদব ও অশ্বিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button