পোশাক খাতে মজুরি কমেছে ২৬ শতাংশ: টিআইবি
তৈরি পোশাক খাতের নতুন কাঠামোতে মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তৈরী পোশাক খাতে অগ্রগতি হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। শ্রমিকদের অধিকার ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে। শিল্পের নতুন কাঠামোতে মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে। আমাদের প্রতিবেদনে তা ওঠে এসেছে।
নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে। এ হিসেবে মজুরি বাড়েনি, উল্টো কমানো হয়েছে। অন্যদিকে যারা আন্দোলন করেছে তাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মজুরি বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন করায় ৫ হাজার শ্রমিককে আসামি করে ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। ১৬৮টি কারখনায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আইনি ও প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। যার অধিকাংশই মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত।
এ সময় গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন, সংস্থার সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা ও মো. মোস্তফা কামাল।
টিআইবির এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ঘোষিত মজুরি অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে ছিল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ঘোষিত প্রথম গ্রেডে নতুন মজুরি করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা। কিন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মজুরি হওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। সেই হিসেবে মজুরি ২ হাজার ৪০৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ কমেছে। এভাবে নতুন কাঠামোতে মজুরি সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে।