অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে একটি ছোট্ট দ্বীপে বাস করে হাজার হাজার পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইনদের বাসস্থান বলে দ্বীপটির নামও রাখা হয়েছে পেঙ্গুইন আইল্যান্ড। তবে এ দ্বীপে সিবার্ড এবং পেলিকান পাখিরও দেখা মেলে।
যদিও শুধু সেপ্টেম্বর থেকে জুন মাসের দিনের নির্দিষ্ট কিছু ঘণ্টা এই দ্বীপে টুরিস্টরা প্রবেশ করার অনুমতি পায়। এ আইল্যান্ডে পৌঁছা যায় খুব সহজেই। মেসারি পয়েন্ট নামক বন্দর থেকে ফেরিতে মাত্র ৫ মিনিটে পৌঁছা যায় এই দ্বীপে। এ ছাড়া নিজস্ব নৌকা, সাঁতার কেটে কিংবা বালুময় চর দিয়ে হেঁটে এ দ্বীপে পৌঁছা যায়। যদিও অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ প্রতিরক্ষা অধিদফতর হেঁটে দ্বীপে যেতে নিরুৎসাহিত করে। কারণ এটি যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। হেঁটে দ্বীপে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে এমন অনেকেই আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রে ডুবে গেছেন।
পেঙ্গুইন দ্বীপে টুরিস্টদের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে ঘুরতে গেলে নিজের খাবার নিজেকেই নিয়ে যেতে হবে। তবে দ্বীপের ভেতরে টুরিস্টদের জন্য বসার এবং টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এ দ্বীপে প্রবেশকারীকে নিজের তৈরি বর্জ্য অবশ্যই নিজেকে ফেরত আনতে হবে। দ্বীপের ভেতরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। দ্বীপের ভেতরে রয়েছে সমুদ্রসৈকত, প্রাকৃতিক গুহা এবং প্রাকৃতিক ব্রিজ।
দ্বীপের ভেতরে রয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত পেঙ্গুইনদের জন্য অভয়ারণ্য, যা ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ প্রতিরক্ষা অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করে। এখানে ওয়াইলাইফ রেঞ্জাররা পেঙ্গুইনদের দেখাশোনা করে এবং তাদের দিনে তিন বেলা খাবার দেয়।
পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো পেঙ্গুইনরাও বিপদাপন্ন। তবে এ দ্বীপে তারা সুরক্ষিত রয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া এই উদ্যোগে।নয়া দিগন্ত।