sliderঅপরাধশিরোনাম

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : দুই সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

পতাকা ডেস্ক‌: ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের প্ল্যান অব অ্যাকশন হচ্ছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা। যারা অভিযোগের ফাইল করবে, সেসব শহীদ পরিবারকে সরকার নিরাপত্তা দেবে বলে আশা করছি। কারণ আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব তারা গত সরকারের ক্ষমতায় ছিল।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাব হলে ‘পিলখানায় ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জনের হত্যার বিচার এবং শহীদ সেনা দিবসের দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পিলখানায় শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান।

সাকিব রহমান আরও বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। আন্তর্জাতিক আইনের ডকট্রিন অব কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তিনিও দায় এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ করব। এছাড়া তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিজিএফআই কর্মকর্তা যারা ছিলেন। তখনকার সময় কিছু সাংবাদিক যারা ভুল ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হবে।

তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকীন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার আওয়ামী লীগ চাইবে না গুম-খুনের বিচার হোক। যেহেতু এখন বাধা নেই, তাই বিডিআর সদস্য হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করে জড়িতদের আইনের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হোক।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে রাকীন বলেন, জড়িতদের সাজা দিলে দেশের সব মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে। যারা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ায় চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট একটি ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে গাড়ি চাপার ঘটনাটি ‘যদি হত্যাচেষ্টা’ হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।

এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবিগুলো তুলে ধরেন শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌসী।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে হওয়া সকল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হোক। ৫৭ জনকে শহীদের মর্যাদা দেয়া হোক এবং দেশ ও দেশের বাইরে এটি বাস্তবায়ন করা হোক। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উপযুক্ত সময়ে পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে দোষী ও নির্দোষ সকলকে ন্যায়বিচার দেয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফুর রহমান খানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা, বক্তব্য রাখেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী রবি রহমানের স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া রশিদ ও তার ভাই কাজী ওলি রহমান, শহীদ কর্নেল এরশাদের ভাই ডা. মামুন, শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান, শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহির স্ত্রী লবী রহমান প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button