পিরোজপুরে রাসেল হত্যার মূল ২ আসামী গ্রেপ্তার

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরে কলেজ ছাত্র রাসেল হত্যার প্রথম দিনেই প্রধান ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায় গত ২৩-৪-২০২৪ তারিখ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর স্বদলীয় সমর্থক রাসেল ও রিয়াজুলের মধ্যে কদমতলা বাজারে অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় মারামারি সংঘটিত হয়, তখন রিয়াজুলের সাথে তার দলীয় অনুসারী মিরাজ সহ অন্যান্যরা যুক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র সশ্র দিয়ে সৈয়দ রাসেলকে এলোপাথাড়ি ভাবে মাথায় আঘাত করলে এতে সৈয়দ রাসেল গুরুতর অসুস্থ হইলে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে খুলনা সিটি হাসপাতালে রেফার করে পরে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গতকাল রাত ১১.০০ ঘটিকার সময রাসেল মারা যায়। পুলিশ ঐ রাতেই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান কাজ শুরু করে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫/৪/২০২৪ তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের টাকা দাখিলের দিন সৈয়দ রাসেল এবং রিয়াজুলের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। পূর্বে ২০২২ সালেও তাদের উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় রিয়াজুলের হাত ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এবং রাজনৈতিকভাবে মীমাংসার চেস্টা করতে থাকে। রিয়াজুল সেই ক্ষোভ মনে পুষে রাখে এবং রাসেলের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করেন। নিহত রাসেল পিরোজপুর সরকারী সরওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ও পরে খুলনা সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যায়।
পরে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম পিপিএম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আসিকুজ্জামান এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিয়াজুল (১৭) পিতাঃ গাংগুয়া সাং-কদমতলা ও মিরাজুল (২০) পিতাঃ আলআমিন সাং-কদমতলা এই প্রধান দুই আসামীকে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন মায়া আক্তার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ২৩/৪/২০২৪ তাং মামলা দায়ের করেন যার নম্বরঃ ২৫। পুলিশ জানায় আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে, পলাতক বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।