পিরোজপুরে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সানির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মোঃ মুসাব্বির মাহমুদ সানির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও স্থানীয় লোকজন। ২৪ এর গনঅভূথ্যানের অন্যতম নেতা বলে দাবি করা মানববন্ধন কারীদের এক নারী বলেন সানি আমাদেরই সন্তান, সে একজন মেধাবী ছাত্র। আমরা দেখেছি তাকে আন্দোলন করতে ও আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও গঠনমূলক কাজের সাথে জড়তি থাকতে। ২৪ এর আন্দোলনের পর সেই আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারা ভোগ করতেছেন, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা জানি, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে সানি তার ভার্সিটি থেকে সামনের সাড়িতে থেকে আন্দোলন করেছে। ২৪ এর জুলাইয়ের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সানি, এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সে কোনো অসামাজিক কাজে যুক্ত হয় নি। তার জনপ্রিয়তা ও তার সাংগঠনিক দক্ষতা সবার নজরে পড়েছে। যার কারণে স্বৈরাচারের দোসরেরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করিয়েছেন, ডাক্তার মামুনুর রশিদ একজন নাগরিক কমিটির সদস্য বলেন সানি অত্যন্ত ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। সানির মা’বলেন আমার ছেলে কোন চাঁদাবাজের সঙ্গে জড়িত নয়, সানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন, বর্তমানে সে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে পিরোজপুর দায়িত্ব পালন করছেন, তার নামে হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান সানির মা। সানির স্ত্রী নাঈমা জানান সানি বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে। সানি পিরোজপুর এ ছিলো এবং আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে ও করে যাচ্ছে। এমনকি ৪ আগস্ট সানিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সানি আন্দোলনকারীদের সাথে নিয়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পিরোজপুর শহীদ মিনারে থাকে, যাতে কেউ আন্দোলনকারীদের মব জাস্টিসের নামে দোষারোপ করতে না পারে। সে রাতে মোমবাতি হাতে আনন্দ মিছিল হয়। সে মিছিলে আমি ও ছিলাম। এরপর আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত সানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানরে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃক্ষ রোপন করে, স্কুলে স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, বিতর্ক কর্মশালার আয়োজন করে। কবিতা উৎসবের আয়োজন করে। এই শীতে শীত বস্ত্র বিতরণ করে। শহীদি মার্চ এর আয়োজন করে, প্রত্যেক উপজেলায় গিয়ে মানুষ এর সাথে কথা বলে, আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখে, নাগরিক কমিটি কে পিরোজপুর এর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়৷ সেই ছেলে করবে চাদা বাজি? তাহলে গত ৭ মাস কেন করে নি! এই প্রশ্ন তাদের কাছে যারা এই অভিযোগ করেন। ও স্কুল জীবন থেকে আজ পর্যন্ত কখনো কেউ বলতে পারবে না তার টাকার লোভ ছিল। আন্দোলনের সময় ও পরে বিভিন্ন মহল ওকে টাকা দিয়ে কিনতে চাইসে, তাদের দলে নিতে চাইসে। সে যায় নি। সে নাগরিক কমিটি নিয়ে কাজ করেছে। এরপর যখন দেখল আন্দোলনের এত মাস পর ও পতিত সরকারের পূর্নবাসন চলছে তখন সে আবার আওয়াজ তুলে। ফেসবুকে লিখা লিখি করে। এই আওয়াজ তোলাই ওর জন্য কাল হয়ে যায়৷ ওর আওয়াজকে বন্ধি করা হয়েছে। মানুষ এখনো সানির ভালো চায়, তাকে পাশে চায়। কিন্তু আশেপাশে এমন ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে যে জীবন ও জীবিকা হারানো ভয়ে অনেকে সামনে এসে মুখ খুলছে না। যেমন সানিকে যাতে কোনো ভাবে সাহায্য করতে না পারে তাই সানির ছোট ভাই, মামা, আর দুলাভাই এর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। যারা সানির পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করে তাদের পরোক্ষ ভাবে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে যাতে সানিকে ও তার পরিবার কে কেউ সাহায্য না করে। এখন সানির জন্য আইনি লড়াই লড়ছি আমি যে একজন অন্ত:সত্ত্বা আমার ৫০ উর্ধ শ্বাশুড়ি। এসব দেখেই এটা খুব স্পষ্ট সানিকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাসানো হয়েছে। আমরা সানির অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি চাই।