পিরোজপুরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে সন্ত্রাসীরা

পিরোজপুরঃ পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রসুল খাঁনকে কুপিয়ে দুটি পা বিচ্ছিন্ন করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। জানা যায় গতকাল সকাল ৯ ঘটিকার সময় মুলগ্রাম বাজার সংলগ্ন টোনা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে টোনা থেকে মুলগ্রাম যাওয়ার রাস্তায় পাইপ দিয়ে বালি ভরাট নিয়ে রসুল খানের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী,বাক বিতান্ডার এক পর্যায়ে রসূল খাকে ঘীরে ফেলে বেল্লাল কাজির সন্ত্রাসী গ্রুপের লোকজন। এক পর্যায়ে তাকে চারদিক থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। জানা যায় রসুল খাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুটি পায়ের পাতা কেটে আলাদা করে ফেলে এবং হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত আরো হাড় কাটা বেশ কয়েকটি কোপ দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও দুই হাতের আঙ্গুলে হাড়কাটা কোপের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
জানা যায় বেল্লাল কাজীর(৪০) সাথে আরও ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম শেখ (২৮) হাফিজুল শেখ (২৫) শহিদুল শেখ (৩০)হাবিবুর রহমান(৫০)সহ আরও কয়েকজন। এক পর্যায়ে তারা তাকে কুপিয়ে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা রসুল খাঁ-কে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে খুলনায় স্থানান্তর করেন, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। আহত রসুল খাঁন আশংঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে জানান তার স্বজনেরা।
এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের কে নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান গতকাল সকালে টোনায় যে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে সেটা খুবই হৃদয় বিদারক, আমরা ইতিমধ্যেই এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছি এবং একটি মামলাও হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুলিশ সুপার আরো জানান বাকি আসামিদেরকে আমরা খুব শীঘ্রই আটক করতে সক্ষম হব।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আশিকুজ্জামান সাংবাদিকদের কে বলেন কোন সন্ত্রাসীকেই আমরা পালিয়ে বাঁচতে দেব না, যেকোনো মূল্যে এ সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।