বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, আমাকে দুইটা কারণে আটকে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো, আমার পৈতৃক পরিচয় এবং আমি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। আমি সব প্রতিবেশি বন্ধু চাই। যে বন্ধু আমার ক্ষতি করে, তাকে শত্রু ছাড়া আমি বন্ধু ভাবতে পারি না। ভারত যতদিন বন্ধুসুলভ আচরণ করবে ততদিন আমি বুকে জড়িয়ে ধরব, ভারত যদি শত্রুর মত আচরণ করে তাহলে আমি তাকে শত্রুই ভাবব এবং শত্রু বলে যাবো। গুপ্ত বন্দিশালাতে থাকাকালীন আমাকে একজন বলেছে, আপনি বিদেশী শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। এই কারণে আমাকে বার বার প্রশ্ন করা হয়েছে আপনি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার কেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ আট বছর গুপ্ত বন্দিশালা আয়নাঘরে থাকাবস্থায় দাঁত, চোখসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। সেই সুবাধে রাধানীতির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতাল থেকেই যুক্ত হন সংবাদ সন্মেলনে। যুক্ত হয়েই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ, আহত ও ছাত্র-জমনতার আন্দোলনের যারা আহত, নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শোক, কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদে প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সঙ্গীতের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। দাবি তোলেন, জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান পরিবর্তনের।
তিনি বলেন, আমি এই জাতীয় সঙ্গীত এই সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমাদের এখন যে জাতীয় সঙ্গীত রয়েছে সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময়কে উপস্থাপন করে। যে সঙ্গীত দুই বাংলা এক করার জন্য করা হয় সেটা কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? এই সঙ্গীত ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সঙ্গীত তৈরি করা।