sliderবিনোদন

পাকিস্তানী ফিল্মের অস্কার বিজয়

বিনোদন ডেস্কঃ ‘অনার কিলিং’-এর ওপর ভিত্তি করে এক পাকিস্তানী কিশোরীকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘এ গার্ল ইন দ্য রিভার: দ্য প্রাইস অব ফরগিভনেস’ রোববার অস্কার জিতেছে। এর পরিচালক শারমিন ওবায়েদ চিনয়ের এটি দ্বিতীয় অস্কার জয়। সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাথে সাক্ষাত করেন।
‘এ গার্ল ইন দ্য রিভার: দ্য প্রাইস অব ফরগিভনেস’ সেরা ডকুমেন্টরি হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জেতার পর গোল্ডেন স্ট্যাচু হাতে নিয়ে শারমিন বলেন, দৃঢ়চেতা নারীরা ঐক্যবদ্ধ হলে এমনই ঘটে। তিনি তার বক্তব্যে তার বাবা কিংবা তার স্বামীর মতো যারা মেয়েদের স্কুলে ও কাজে পাঠায় তাদের মতো সাহসী পুরুষদের প্রশংসা করেন।
ছবিটিতে ১৯ বছর বয়সী সাবাকে তুলে ধরা হয়েছে। সে অনার কিলিংয়ের(পরিবারের সম্মানের জন্যে হত্যা) শিকার হলেও শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায়। পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করার অপরাধে তাকে মারধর ও গুলি করে নদীতে ফেলা দেয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার মাথা হেলে যায়। এর মানে বুলেট মেয়েটির খুলি উড়িয়ে দেয়ার বদলে তার গন্ডদেশে সামান্য আঘাত করেছে কেবল। এ ধরণের হামলার কারণেই মেয়েটি বেঁচে যায়। কিন্তু কেবল বেঁচেই যায়না, সে পুলিশের কাছেও যায়।
পাকিস্তানে বলবৎ ইসলামিক আইনের বিতর্কিত অংশ অনুযায়ী কোন পুরুষ তার নারী আত্মীয়কে হত্যা করলে ব্লাড মানির(খুনের দায় থেকে মুক্তি) মাধ্যমে আত্মীয়দের কাছ থেকে মাফ পেলে সে শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যায়।
ইসলামাবাদে চিনয়ের সাথে বৈঠক শেষে নওয়াজ শরীফ এক বিবৃতিতে যথাযথ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ন্যক্কারজনক এই অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। তাই চিনয় তার বক্তব্যে বলেন, এটিই ফিল্মের শক্তি।
এর আগে তিনি বলেছেন, ফিল্মটির অস্কার জয় পরিবর্তনে গতি আনবে।
চিনয়ের ‘সেভিং ফেস’ ২০১২ সালে অস্কার জেতে। এটি ছিল পাকিস্তানী কোন ডকুমেন্টরি ফিল্মের প্রথম অস্কার জয়। এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে ৪০ মিনিটের এ ডকুমেন্টরি তৈরি করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button