
প্রথম ইনিংসের পরই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে একরকম। তবু অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে আইরিশরা কোন চমক দেখাতে পারে কিনা সেটা ছিল দেখার। কিন্তু চমকের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি উইলিয়াম পোটারফিল্ডের দল। উল্টো পাকিস্তানি পেস আক্রমণে দিশেহারা স্বাগতিকরা ম্যাচ হেরেছে ২৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে বৃহস্পতিবার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৮ রানের(৪৭ ওভারে) লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রতি মূহুর্তেই ধুঁকেছে স্বাগতিকরা। ২৩ দশমিক ৪ ওভারে ৮২ রান তুলতেই হারিয়েছে সবকটি উইকেট।
অনেক দিন পর দলে ফিরে পুরনো রুপেই দেখা দিলেন পাকিস্তানি পেসার ওমর গুল। ৫ ওভারে ২৩ রান দিয়ে গুল নিয়েছেন ৩ উইকেট। অবশ্য ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা হয়েছে বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরের হাতে। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় শূণ্য রানেই পল স্টারলিংকে বোল্ড করেন আমির। সব মিলে ৪ ওভার বল করে এই বাঁহাতি পেসার দিয়েছে ৭ রান। শূণ্য রানে আমিরের আঘাতের পর স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করা যেন ভুলেই গেছে আইরিশরা।
আরেক পেসার ইমাদ ওয়াসিম ১৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। লেট অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যান ক্রিজে দাড়াতেই পারেনি ওয়াসিমের তাণ্ডবে। ৪ বলের ব্যবধানে আয়ারল্যান্ডের শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন এই পেসার। অবশ্য তার আগেই আইরিশ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড গুড়িয়ে দিয়েছেন গুল। একটি উইকেট নিয়েছে অভিষিক্ত মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে তুলেছে ৩৩৭ রান। রীতিমত বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন শারজিল খান। ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি এটি পাক ওপেনারের। মাত্র ৮৬ বলে ১৬ টি চার আর ৯টি ছক্কায় করেছেন ১৫২ রান।
টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কেউ তাকে সঙ্গ দিতে না পারলেও, গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাড়িয়ে শেষ দিকে দলের স্কোর বাড়ানোর দায়িত্ব পালন করেছেন দুই মিডল অর্ডার শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নওয়াজ। প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে নেমেই নওয়াজ পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি(৫৩)। আর অন্য প্রান্তে শোয়েব মালিক খেলেছেন ৩৭ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানেই অধিনায়ক আজহার আলীকে হারায় পাকিস্তান। এরপর মোহাম্মদ হাফিজ(৩৭) ও বাবর আজমকে(২৯) নিয়ে দুটি জুটি গড়েন শারজিল খান। প্রথম ৩০ ওভারেই দলীয় ২০০ রান পার করে পাকিস্তান।