sliderউপমহাদেশশিরোনাম

পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান

পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। কাল বুধবার দুপুর বা বিকেলের দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান।
বিএসএফ জানিয়েছে, আম্ফানের মোকাবিলা করতে সুন্দরবন এলাকায় এক ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। আর এক ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে ইছামতী নদীতে।
ইতিমধ্যেই আম্পানের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত দিঘায় শুরু হয়ে গিয়েছে তাণ্ডব।
আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
মঙ্গলবারের সবশেষ খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার নদীর পানি বাড়ছে। রায়দিঘির সিমানাঘাট সংলগ্ন নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। কুলতলি, গোসাবা সাগর থানার বেশ কয়েকটি এলাকার নদী বাঁধ ভেঙে গেছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
রাত সাড়ে আটটায় আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এমনকি তা ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।
পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা রাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী এনডিআরএফ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই রাজ্য গঠন করেছে ৩৭টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল। প্রতিটি দলে রয়েছেন ৪৫ জন করে সদস্য। সঙ্গে থাকছে উদ্ধারসামগ্রী। বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর মহাপরিচালক এসএন প্রধান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় কর্মকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কাল দুপুর বা বিকেলে আম্পান পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানতে পারে। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সমুদ্র উপকূলে ৪ থেকে ৬ মিটার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে ৪ থেকে ৬ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সমুদ্র থাকবে উত্তাল।
আছড়ে পড়ার সময় আম্ফানের শক্তি কিছুটা কমে তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হেত পারে বলে জানান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। যা বেড়ে পরে ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আম্ফানের প্রভাব পড়বে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এসব স্থানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও জিনিউজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button