sliderপ্রবাসশিরোনাম

পর্তুগালে (লিসবনে) মাইগ্রেশন অ্যালায়েন্সের নয়ন এনকে

হেলিয়ান্থাস, ঢাকা : পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত ‘মাইগ্রেশন অ্যালায়েন্সের’ সম্মেলনে এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠক ‘সলিডারিতে অ্যাসি ফ্রঁস’ (সাফ)-এর প্রতিষ্ঠিাতা ও প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে।

গত বুধবার বিকেলে শুরু হয় ‘মাইগ্রেশন অ্যালায়েন্সের-২০২৩।’ পরে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) কয়েকটা ধাপে ১২টি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় এবং শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ৩টি ওয়ার্কশপ* অনুষ্ঠিত হয় যেগুলির উদ্দেশ্য ছিল একটি সাধারণ এজেন্ডা তৈরি করা যার মাধ্যমে সম্মিলিত হয়ে অভিবাসন এবং অভ্যর্থনা নীতির বিষয় নিয়ে কাজ করা যাতে করে অভিবাসীদের ভালো করে রক্ষা করা যাই।

*ওয়ার্কশপ ১: অভিবাসনের আরেকটি শাসনের জন্য ওকালতি সংগঠিত করি

ওয়ার্কশপ ২: নাগরিকত্ব/অভ্যর্থনার অন্যান্য সম্ভাব্য মডেল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা

ওয়ার্কশপ ৩: অঞ্চলগুলির মধ্যে নেটওয়ার্কিংকে শক্তিশালী করি৷

সেমিনার এবং ওয়ার্কশপগুলি লিসবন নোভা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীরা হলো: ফ্রান্স, বেলজিয়াম, তিউনিসিয়া, মৌরিতানিয়া, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, উরুগুয়ে, মেক্সিকো, ইতালি, কানাডা, জার্মানি, গ্রীস, মালি, সেনেগাল, ইত্যাদি..। বক্তারা বিভিন্ন পেশার: ডেপুটি, সিনেটর, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, ডেপুটি ডিরেক্টর অব মাইগ্রেন্টস, ডিরেক্টর অফ অ্যাসোসিয়েশন…আর মোট ৪১টি দেশের মানুষ দর্শক ছিল এই সেমিনারগুলোতে

নয়ন এনকে কথা বলবেন “রাজনৈতিক এবং নাগরিকদের অংশগ্রহণ মাইগ্রেশনে” এবং তার সাথে বক্তব্য রাখবেন মোহাম্মদ ওয়াজদি আইদির সাথে, Sfax (তিউনিসিয়া) শহরের ডেপুটি মেয়র।

“এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে সম্মেলনে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত” উল্লেখ করে সাফ’র প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, মূলত- ইমিগ্রেশন নিয়ে যে সংগঠনগুলো নিয়মিত কাজ করে তাদেরকে একত্রিত করে আরো বিশদভাবে কাজ করার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়েই এ সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমার সংগঠন ‘সলিডারিতে অ্যাসি ফ্রঁস’ দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত ও অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সে হিসেবে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

অভিবাসন এবং সংহতির অপরাধীকরণ, নিয়মিতকরণ এবং অধিকার অ্যাক্সেসের জন্য সংগ্রাম, নব্য উপনিবেশবাদ, সংকট এবং অভিবাসন ইত্যাদি…

এতে বিশ্বের প্রায় ৪১টি দেশের মানুষ যারা শতাধিক সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনে প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

‘এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে সামিটে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত’ উল্লেখ করে সাফ’র প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, মূলত- ইমিগ্রেশন নিয়ে যে সংগঠনগুলো নিয়মিত কাজ করে তাদেরকে একত্রিত করে আরো বিশদভাবে কাজ করার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়েই এ সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমার সংগঠন ‘সলিডারিতে অ্যাসি ফ্রঁস’ দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত ও অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সে হিসেবে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি বলেন, অনিয়মিতদের জন্য একদিনে কাজ করে যে শেষ হয়ে যাবে তা নয়, তাদের জীবনমানের জন্য আরো বেশ কিছু উপাদেয় অনুষঙ্গও প্রয়োজন। একইসঙ্গে যারা সমুদ্রপথসহ বিভিন্ন বর্ডার ক্রস করে আসছে তাদের জীবনমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদেরকে আরো সোচ্চার হয়ে কাজ করতে হবে।

নয়ন এনকে বলেন, ফ্রান্সে বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদনকারীদের ‘অটো রিজেক্ট’ এবং আন্ডার এইজে যাওয়ার পর যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।

কেবল তাই নয় অভিবাসী প্রসঙ্গ ছাড়াও পৃথক বিভিন্ন কনফারেন্সে বাংলাদেশের একাধিক বিষয় আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি, বিশেষ করে বাংলাদেশের জলবায়ু সমস্যা নিয়ে আমি কথা বলেছি। আশা করি- এ সামিটের মাধ্যমে আগামীতে একসঙ্গে আরো জোরালোভাবে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো।

তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি বিভাগীয় নির্বাচনে প্রার্থী (ভাইস চেয়ারম্যান) ছিলেন এবং আরো অনেক বিষয়ে অবদান রেখেছে, রাখছে আরো রাখবে এবং আমরা আশা করি তিনি এভাবেই আরো অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ, ফ্রান্স এবং এশিয়াকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button