গোলাম রাব্বানী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কোয়াটার গার্ডে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন অধিনায়কের বিশেষ দরবার এবং প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, পিএসপি, রিজিয়ন কমান্ডার উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল মোঃ ইমরান এ রউফ সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি, রাজশাহী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লেঃ কর্ণেল মোঃ হামিদ উদ্দিন বিজিবিএমএস, পিএসসি সহ রাজশাহী সেক্টরের অধিনায়কবৃন্দ, নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা,পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও টুকটুক তালুকদার, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মমীন, সহকারী কমিশনার ভূমি আজিজুল কবির, পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন, কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটজন, নজিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরহাদ হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রতিনিধি, গন্যমান্য অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সকল স্তরের সৈনিকবৃন্দ।
অত্যন্ত উৎসবমূখর ও আনন্দঘন পরিবেশে পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রীতিভোজ সম্পন্ন হয়। ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র সমাপনী কর্মসূচী হিসেবে বিকেলে প্রীতি ভলিবল খেলা এবং সন্ধ্যায় সীমান্তে হিমেল হাওয়া’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ, ১৯৬৭ সালের ০৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এর তৎকালীন ইপিআর এর ১৪তম উইং হিসেবে বর্তমান পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আজ থেকে ৫৭ বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৬৭ সাল হতে অদ্যাবধি এই ব্যাটালিয়ন সরকার কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব এবং দেশমাতৃকার সীমান্ত রক্ষার মত পবিত্র দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে পালন করে আসছে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ব্যাটালিয়নের ৩৫ জন বিভিন্ন পদবীর সৈনিক শহীদ হন এবং ১৯৮৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের মারিশ্যায় দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন শান্তিবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ০২জন সৈনিক শাহাদাৎ বরণ করেন।