আবুল হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম : পটিয়ায় আয়েশা সুলতানা সুমি নামের এক শিক্ষানবীশ নারী আইনজীবীকে পটিয়াস্থ দুইটি আদালতে প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি করেছেন পটিয়া আইনজীবী সমিতি। আইনী সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মক্কেলের কাছে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে নানাভাবে হয়রানিসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনজীবি সমিতি তদন্ত কমিটি করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর আইনজীবী সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বিধি নিষেধ জারি ও এর একটি নোটিশ পটিয়া জজ আদালত এবং পটিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রবেশ মুখে টাঙানো হয়। বিষয়টি দুই আদালতের বিচারকদের অবগত করেন আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেবা প্রার্থী মক্কেল আইনজীবী পরিচয়ে টাকা নেয়ার পর নানাভাবে তাদের হয়রানি করার বিষয়ে পটিয়া আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, অভিযোগ সমূহের সত্যতা পাওয়ায় এবং ওই কথিত শিক্ষানবীশ আইনজীবী চুক্তিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ও রেজ্যুলেশন করা হয়। ওই আইনজীবী পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ খরনা এলাকার বাসিন্দা মৃত আবদুল আজিজের কন্যা।
পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা আজমিরি মিস্টি জানান, শিক্ষানবীশ আইনজীবী আয়েশা সুলতানা সুমির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে সমিতির সাবেক ২ জন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সহ সভাপতিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি ৫টি অভিযোগ গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষানবীশ আইনজীবী সুমির বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। শিক্ষানবীশ হিসেবে পটিয়া আইনজীবী সমিতির কোন বারের শিক্ষানবীশ কার্ড তদন্ত কর্মকর্তাদের দেখাতে ব্যর্থ হন। এরপর ওই কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন উল্লেখ করে বিগত ১৭ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২ আগস্ট সমিতির অনুষ্ঠিত সভায় তদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করেন। সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিসনার এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর ৪১ অনুচ্ছেদ লঙ্গন করার অপরাধে এবং আইনজীবী ও আইন পেশার মানমর্যাদা সম্মুন্নত রাখতে পটিয়া আইনজীবী সমিতি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে পটিয়ার দুটি আদালতে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। উক্ত অভিযুক্ত আয়েশা সুলতানা সুমি সমিতির আদেশ অমান্য করলে টাউট হিসাবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।