পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে পাচুরিয়া এলাকায় সরকারি খাস কৃষি জমি বন্দোবস্তী নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা
এ নিয়ে ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পটিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তি যোদ্ধা পরিবার। বীরমুক্তিযোদ্ধা আসলামের পরিবারের পক্ষে তার ভাই মো: ইদ্রিস সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পাচুরিয়া মৌজার ৭ শতক খাস জমি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আসলাম মিয়ার পিতা মাহমদুর রহমান ৮২-৮৩ সালে সরকারীভাবে একসনা লীজ নিয়ে উক্ত জায়গায় ৬টি দোকান নির্মাণ করে পরিবারের সদস্যরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পরবর্তীতে মরহুম মাহমুদুর রহমানের ছেলে মোঃ ইদ্রিস সরকার হইতে উক্ত জায়গা স্থায়ী বন্দোবস্তি নিয়ে শান্তি পূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় একই এলাকার শেখ আহামদ, জায়দুল হক, শফিকুল, দিদারগণ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোঃ ইদ্রিসের স্বাক্ষর জাল করিয়া একটি নাদাবী ও চুক্তিনামা তৈরী করে রাতের অন্ধকারে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উক্ত জায়গায় থাকা দোকানের পার্শ্বে হইতে কিছু অংশ জোর দখল চেষ্টা করে উচ্ছেদ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোঃ ইদ্রিস জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগটি যাচাই করিয়া ভূতপূর্ব জেলা প্রশাসক গত ৮/৩/২২ইং তারিখ ভূমিদস্যু শেখ আহাম্মদ গংদের জোর জবর দখলের থাকা ভূমিতে স্থাপিত স্থাপনা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এসিল্যান্ড পটিয়াকে নির্দেশ দেন।
বর্তমানে শেখ আহম্মদ গং আইনগতভাবে কোন রকম সুযোগ না পেয়ে কথিত জসিম উদ্দিন নামে একজনের নাম বসিয়ে ভুয়া অভিযোগ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্থায়ী বন্দোবস্তি প্রাপ্ত জাযগা বাতিলের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকে নিকট আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধার ভাই মো: ইদ্রিস গত ৩০ মার্চ বিভিন্ন পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান, রিদুয়ানুর রহমান, রমজান আলী, আজাদ।
এ বিষয়ে মো: ইদ্রিস এর প্রতিপক্ষ শেখ আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মো: ইদ্রিস মিথ্যা ভিত্তিহীন শহীদ পরিবার পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে তিনি বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।