চট্টগ্রাম টেস্টের জয় পরাজয় নির্ধারণ হবে পঞ্চম দিনে৷ বিনা উইকেটে ৪২ রান থেকে দিন শুরু করার পর ৬ উইকেটে ২৭২ রানে শেষ হয়েছে চতুর্থ দিন। রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী জুটির পর খেই হারায় মিডল অর্ডার। তবে শেষ ভরসা হয়ে মাঠে আছেন সাকিব-মিরাজ। তবে এখনো প্রয়োজন ২৪১ রান। দিনের প্রাপ্তি শুধুই জাকির হাসান, অভিষেকেই শতক তুলে নিয়েছেন এই ব্যাটার।
এদিকে পুরো দিন খেলতে পারাটাকেই যখন আপনি বাংলাদেশের সফলতা বলবেন, তখন উইকেট হারানোর ধরনকে ব্যর্থতা বলতে হয়। অবশ্য দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশেরই ছিল। দুই ওপেনার গতকাল যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। তাদের জুটিতে যখন ভাঙন ধরলো ততক্ষণে দলের রান তিন অংক ছুঁয়েছে। উমেশ যাদবের বলে ভাঙে শান্ত-জাকিরের ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি৷
৬৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন শান্ত। সেই সাথে প্রথম উইকেটের দেখা পায় ভারত। তবে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৫ রান করেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার ইয়াসির আলী রাব্বি। ফলে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৩১ রান। সেখান থেকে লিটন দাসকে সাথে নিয়ে আরো ৪২ রান যোগ করেন জাকির। তবে এদিন আরো একবার ভালো শুরুর পর ব্যর্থ লিটন, কূলদীপ যাদবের শিকার হয়ে ফেরেন ১৯ রান করে।
এবার মুশফিকুর রহিমের সাথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন জাকির। অভিষেক ম্যাচেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল আর আবুল হাসান রাজুর পর চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন জাকির। তবে ইনিংসটা বড় হয়নি তার, সমান ১০০ রানেই আশ্বিনের শিকার তিনি। জাকিরের বিদায়ের পর সাকিবের সাথে ২৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। অতঃপর ব্যক্তিগত ২৩ রানে তিনিও ফেরেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে।
এইদিনও ব্যর্থ নুরুল হাসান সোহান। ৩ রান করে প্যাটেলের তৃতীয় শিকার হন তিনি। এরপরই মিরাজকে নিয়ে শুরু হয় সাকিবের প্রতিরোধ৷ দিনশেষে তাদের হার না মানা জুটি থেকে এসেছে ৩৪ রান। সাকিব ৪০ ও মিরাজ অপরাজিত আছেন ৯ রানে। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ২৪১ রান, হাতে আছে ৪ উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪০৪ রানের জবাবে ১৫০ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅনের বাঁধায় পড়লেও ফলোঅন করায়নি ভারত, ২৫৪ রানের লিড নিয়ে তারাই ব্যাটিংয়ে নেমে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে জোড়া শতকে ২ উইকেটে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে ভারত।
শুভমান গিল টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে ১১০ রানে আউট হলেও ১২০ রান করে অপরাজিত থাকেন চেতেশ্বর পুজারা। দু’জনেই ব্যাট করেছেন প্রায় ৮০ স্ট্রাইকরেটে। মাঝে লোকেশ রাহুল আউট হন ২৩ রানে, আর ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩ রান।