
বার্তা পরিবেশক: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীর থাইংখালীতে নৌকার পক্ষে কাজ করায় বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। পালংখালী ইউনিয়নের নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান এম, গফুর উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বালুমহালে নিয়োজিত কমীর্ ও গাড়ি চালকদের সাথে এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সৃষ্ট সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সুত্রে জানা যায়, বিগত ৩ বছর যাবত থাইংখালী বালু মহালের কার্যক্রম সুনামে সাথে পরিচালনা করেন ইজারাদার শাহীনুল হক মার্শাল। বর্তমানেও তিনি ইজারাদার হিসেবে রয়েছেন। এখানকার বালু মহালের কর্মকর্তা—কর্মচারিরা গত ১১ নভেম্বর সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পালংখালীতে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় বিদ্রোহী প্রার্থী এম, গফুর উদ্দিন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বেপরোয়া হয়ে উঠে। যারা তাঁর পক্ষে কাজ করেনি তাদের উপর চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীদের মদদে চালাচ্ছে নির্যাতনের স্টীম রোলার। ইতোমধ্যে থাইংখালী বালু মহালে কর্মরতদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো, বালু বোঝাই গাড়িতে ইয়াবা দিয়ে প্রশাসনকে হস্তান্তরসহ নানা হুমকী ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও চাঁদার দাবিতে গাড়ি আটকিয়ে ভাংচুর, চালকদের মারধর করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাড়িগুলো ছাড়িয়ে আনা হয়।
নৌকার কর্মী এবং বালু মহালে কর্মরত খাইরুল বশর, মমতাজ ও আবদুর রশিদ বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নৌকা পক্ষে কাজ করায় আমাদের উপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে গফুর উদ্দিন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিদিন গাড়ি বহর নিয়ে এলাকায় আতংক ছড়ায় চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীরা। তাঁর গাড়িতে ব্যবহৃত হয় জরুরী সাইরেন। যা সরকারি উচ্চ পদস্থ গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। এই গাড়ি বহরে নিরাপদে ইয়াবা পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। হঠাৎ গাড়ি বহর থামিয়ে নৌকার কর্মীদের বেধড়ক মারধর ও বালু মহালের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উখিয়ার ইউএনও কে জানানো হয়েছে। থানায় সাধারণ ডায়েরী করারও প্রস্তুতি চলছে।
নৌকা পক্ষে কাজ করা এজাহার মিয়া ও শামসুল আলম বলেন, আওয়ামী বিদ্বেষী হয়েও গফুর উদ্দিনের নিয়মিত হুংকার করে ‘সব আওয়ামী লীগ নেতা নাকি তাঁর পকেটে থাকে, আর টাকা দিলে সবাইকে ম্যানেজ করা যায়’। সেজন্য সে কাউকে পরোয়া করছে না। নির্বাচনে গফুর উদ্দিন প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করেছে। এতো টাকার উৎস কি, তাও ভাবার বিষয়। ইয়াবার টাকায় তাঁর দাপট দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
থাইংখালী বালু মহালের ইজারাদার শাহীনুল হক মার্শাল বলেন, বালু মহাল কিংবা গাড়ির বৈধ—অবৈধতা যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ আছে। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম। বালু উত্তোলন করে বিক্রি করতে না পারলে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। নচেৎ যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হতে পারে।