sliderস্থানীয়

নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের দাফন সম্পন্ন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর মাইজদীতে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর প্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে মরহুমের তৃতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে মরহুমের কফিন জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে দেওয়া হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি. একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম,সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্লাহ খান সোহেল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার মানিকমিয়া এভিনিউর ন্যাম ফ্ল্যাট এমপি হোস্টেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৮ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ সহ বহু আত্মীয় স্বজন এবং সুহৃদ শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী। তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একাধিকবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে।
এর আগে গতকাল বাদ জোহর জাতীয় সংসদ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা, রাত সাড়ে ৮টায় নোয়াখালীর চাটখিলে পিজি হাইস্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তাঁর মৃত্যুতে নোয়াখালীতে দলীয় নেতাকর্মী, বীর মুক্তিযুদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি একরাম চৌধুরী, নোয়াখালীর সংসদ সদস্যগণ, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button